২০০৬ বিশ্বকাপের ফাইনালে জিনেদিন জিদান আর মার্কো মাতেরাজ্জির মাঝে এক অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। যেটি ফুটবল ইতিহাসে সবচেয়ে বিতর্কিত। জিদানের উদ্দেশে মাঠেই কিছু কটু মন্তব্য করেন ডিফেন্ডার মাতেরাজ্জি। সেই কটুক্তি শুনে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি তিনি। তারপরই বাধে যত বিপত্তি। ম্যাচের ১০৪ মিনিটে মাথা দিয়ে সজোরে মাতেরাজ্জির বুক বরাবর মাথা দিয়ে আঘাত (ঢুস) করেন জিদান। সঙ্গে সঙ্গেই লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। পরে টাইব্রেকারে বিশ্বকাপ জিতে নেয় ইতালি।
এ ঘটনার ৭ বছর পর জিদানের সেই ঢুস স্মরণীয় করে রাখতে আলজেরিয়ান বংশোদ্ভুত ফ্রেঞ্চ শিল্পী আদেল আবদেস সামাদ একটি ভাষ্কর্য তৈরি করেন। ১৫ ফুট উচ্চতার ব্রোঞ্জের তৈরি সেই ভাস্কর্য কিনে নিয়েছিল কাতার জাদুঘর। দোহায় সমুদ্রের পাশে সেই ভাস্কর্যটি স্থাপন করা হয়েছিল।
ভাস্কর্যটি স্থাপনের পরপরই সেই সময় আবার সেটি সরিয়ে ফেলা হয়। কাতারের প্রথাগত চিন্তা-ভাবনার মানুষেরা মূর্তিকে ভালো চোখে দেখে না এবং এটি সহিংসতা উসকে দিতে পারে মর্মে ভাস্কর্যটি তখন সরিয়ে ফেলা হয়। তবে ২০২২ বিশ্বকাপকে সামনে রেখে কাতারের কর্তৃপক্ষ মনে করছে, এত বছর পর দেশের জনগণের মানসিকতার পরিবর্তন হয়েছে। তাই আবারও ভাস্কর্যটি স্থাপিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
এ ব্যাপারে কাতার জাদুঘরের চেয়ারপারসন আল-মায়াসা আল থানি বলেন, ‘ মানুষ হয়তো প্রথমে কোনো কিছুর সমালোচনা করে। কিন্তু একসময় সেটা বুঝতে পারে এবং মেনে নেয়। মানুষের মানসিকতা পরিবর্তন হতে সময় লাগে। জিদান কাতারের খুব ভালো বন্ধু এবং আরববিশ্বের জন্য দারুণ এক আদর্শ। শিল্প হলো অন্য সব কিছুর মতোই রুচির ব্যাপার। ‘