মঙ্গলবার সকাল থেকেই ক্রিকেট অঙ্গনে একটি গুঞ্জন, ইংলিশ কাউন্টি ক্লাব ওয়ারউইকশায়ারের হয়ে খেলার প্রস্তাব পেয়েছেন দেশের শীর্ষ ফাস্টবোলার তাসকিন আহমেদ।
বাংলাদেশের সাবেক ফাস্টবোলিং কোচ ওটিস গিবসন তাসকিনকে ওয়ারউইকশায়ারের হয়ে ইংলিশ কাউন্টির লঙ্গার ভার্সন (৪ দিনের আসর) খেলার প্রস্তাব দিয়েছেন। বলে রাখা ভালো, গিবসন এখন ওয়ারউইকশায়ারের হেড কোচ।
খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জাগছে, তাসকিন কী জানিয়েছেন? তিনি এ বছর ইংলিশ কাউন্টি খেলতে চান? তা নিয়ে দুইরকম ভাষ্য শোনা যাচ্ছে।
একপক্ষ বলছে, তাসকিন নিজ থেকে ‘না’ করে দিয়েছেন। আর অন্যপক্ষের খবর, বিসিবি তাকে বিশ্বকাপের আগে ইংলিশ কাউন্টির ৪ দিনের পর্ব খেলতে দিতে রাজি নয়।
আসলে কোনটি সঠিক? বিসিবি পরিচালক ও জাতীয় দল পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুসের কাছে এ প্রশ্ন রাখা হলে তিনি যা বলেন, তার সারমর্ম হলো-সিদ্ধান্তটা আসলে তাসকিনের একার না। আবার ঠিক বোর্ডও যে নিষেধ করেছে, তেমনও নয়।
তাহলে কী? জালাল ইউনুস জানালেন, সবাই কথাবার্তা বলেই সিদ্ধান্তটা নেওয়া হয়েছে। সেটা কী রকম? এবার জালালের বিস্তারিত ব্যাখ্যা, ‘আসলে ওয়ারউইকশায়ারের হয়ে ইংলিশ কাউন্টির লঙ্গার ভার্সনের পার্ট খেলার প্রস্তাব পেয়ে তাসকিন বোর্ডে ব্যাপারটা জানায়। আমাদের সাথে খোলাখুলি কথা বলে। সেই আলাপের সময় হেড কোচ, নির্বাচকরা আর আমরা মানে ক্রিকেট অপসের ও বোর্ডের লোকজন ছিলাম।’
জালাল যোগ করেন, ‘তাসকিন আমাদের কাছে এসে জানায় যে, সে ওয়ারউইকশায়ারের হয়ে কাউন্টি খেলার অফার পেয়েছে। তখন সবাই যার যার মতামত দেয়। আমরা মানে ক্রিকেট বোর্ড তাকে যে নিষেধ করেছি, তা নয়। বিষয়টা নিয়ে খোলামেলা কথাবার্তা হয়েছে। হেড কোচ হাথুরুসিংহেও মত দিয়েছেন। আমাদের সে আলোচনায় অনেক পয়েন্টই উঠে আসে। সবচেয়ে গুরুত্ব পায় সামনেই কয়েক মাস পর ওয়ানডে বিশ্বকাপের ব্যাপারটা।’
‘যেহেতু এ বছর ওয়ানডে বিশ্বকাপ এবং তাসকিন দলের খুবই গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়, দলের এক নম্বর স্ট্রাইক বোলার। তাই তার শতভাগ ফিটনেস খুব দরকার। বিশ্বকাপে টিম বাংলাদেশের শতভাগ ফিট ও ইনফর্ম তাসকিনকে দরকার। ওয়ারউইকশায়ারের হয়ে ইংলিশ কাউন্টিতে ৪ দিনের আসরে অংশ নিলে তার ওপর একটা বড় শারীরিক ধকল যাবে। ম্যাচের পাশাপাশি হার্ড শিডিউল আছে। বিশ্বকাপের আগে তেমন হলে ইনজুরির হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তখন আমরা বলি যে, না যাওয়াই ভালো। কোচও বলেছেন টেইক কেয়ার অফ ইওরসেলফ।’
জালাল আবারও বলেন, তাসকিনকে কাউন্টি না খেলার ব্যাপারে জোর করেননি তারা। জালালের ভাষায়, ‘সতর্কতামূলক কথা বলা হলেও আমরা তাসকিনকে কাউন্টি খেলতে সরাসরি মানা করিনি। তার সঙ্গে কাউন্টি খেলার ‘মেরিট , ডিমেরিটস’ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ওদিকে তাসকিনেরও এ বছর কাউন্টি খেলার ইচ্ছে ছিল না। সবমিলেই ব্যাপারটা ‘না’ হয়ে গেছে।’