কাঁচা মাছ ও বৃষ্টির পানি পান করে প্রশান্ত মহাসাগরে প্রায় দুই মাস পার করে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার এক নাবিক ও তার কুকুর। সম্প্রতি তাদের উদ্ধার করা হয়। ৫১ বছর বয়সি এই নাবিক শারীরিকভাবে ভালো আছেন। সোমবার (১৭ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে গালফ নিউজ।
সংশ্লিষ্ট এক চিকিৎসক জানান, প্রশান্ত মহাসাগরে কাঁচা মাছ খেয়ে এবং বৃষ্টির পানি পান করে দুই মাস বেঁচে থাকা অস্ট্রেলিয়ান নাবিকের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল এবং খুব ভালো আছে। বিশাল সমুদ্রে তার সঙ্গী ছিল তার কুকুর। সেও জীবিত আছে।
অস্ট্রেলিয়ান ওই নাবিকের নাম টিম শ্যাডক। তিনি সিডনির বাসিন্দা। আর তার কুকুরের নাম বেলা। গত এপ্রিল মাসে কুকুর বেলাকে সঙ্গে নিয়ে ৫১ বছর বয়সি এই অস্ট্রেলিয়ান নাবিক মেক্সিকো ছেড়ে ফ্রেঞ্চ পলিনেশিয়ার উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন। কিন্তু যাত্রা করার কয়েক সপ্তাহ পরে ঝড়ের কারণে তাদের নৌকাটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
দীর্ঘ দুই মাস ধরে নিখোঁজ ছিলেন তারা। এরপর সম্প্রতি একটি হেলিকপ্টার তাদের দেখতে পায়। চলতি সপ্তাহে একটি ট্রলারে করে তাদের উদ্ধার করা হয়।
ট্রলারে থাকা এক ডাক্তার অস্ট্রেলিয়ার ৯নিউজকে জানান, উদ্ধারকৃত ওই লোকটির স্বাভাবিক গুরুত্বপূর্ণ কিছু লক্ষণ রয়েছে।
টিম শ্যাডক মেক্সিকোর লা পাজ শহর থেকে ৬ হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ যাত্রা শুরু করেছিলেন। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কারণে তার নৌকার ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে যায়। ফলে তিনি গভীর সমুদ্রে আটকা পড়েন।
নাবিক ও তার কুকুর বিশাল ও প্রতিকূল উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরে ভাসতে থাকেন।
অবশেষে দুই মাস পরে যখন তাদের মেক্সিকো উপকূলে পাওয়া যায়, তিনি অনেকটাই ক্ষীণ ছিলেন। তার গালে বেশ বড় বড় ওঠা দাড়ি ছিল।
৯নিউজকে টিম শ্যাডক বলেন, ’আমি সমুদ্রে খুব কঠিন অগ্নিপরীক্ষার মধ্য দিয়ে দিন পার করেছি। আমার শুধু বিশ্রাম ও ভালো খাবার দরকার, কারণ আমি দীর্ঘদিন ধরে সমুদ্রে একা ছিলাম। অন্যথায় আমি খুব ভালো আছি।’
শ্যাডক আরও বলেন, ’মাছ ধরার সরঞ্জাম তাকে বেঁচে থাকতে সাহায্য করেছিল। এ ছাড়া তিনি তার নৌকার ছাউনির নীচে আশ্রয় নিয়ে রোদে পোড়া এড়াতে সক্ষম হন।‘
সূত্র : গালফ নিউজ