নাটোরের সেই কলেজ শিক্ষিকা খাইরুন নাহার ও ছাত্র মামুনের সংসার মাত্র আট মাসের মধ্যেই পরিসমাপ্তি ঘটল! রবিবার সকালে শহরের বলারিপাড়া এলাকার ভাড়া বাসা থেকে ওই শিক্ষিকার মরদেহ উদ্বার করে পুলিশ। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মামুনকে আটক করে সদর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে এ মৃত্যু প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হলেও তদন্ত করছে পুলিশ। এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা? পুলিশের তদন্ত ও মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে জানা যাবে বলে জানিয়েছেন সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নাছিম আহমেদ।
সূত্র জানায়, তার লাশ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলানো অবস্থায় ছিল। পুলিশের ধারণা তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন। তবে এখনই নিশ্চিত হয়ে সবকিছু বলা যাচ্ছে না। তিনি আত্মহত্যা করেছেন কি না! স্থানীয়রা বলছেন, তাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হতে পারে।
গুরুদাসপুরের খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক খাইরুন নাহারের প্রথমে বিয়ে হয়েছিল রাজশাহীর বাঘায়। সেখানে তার এক সন্তানও রয়েছে। পারিবারিক কলহের কারণে সে সংসার বেশিদিন টেকেনি। তারপর কেটে যায় অনেক দিন। এরই মাঝে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হয় ২২ বছরের যুবক মামুনের সঙ্গে। ছয় মাস প্রেমের পর বিয়ে করেন তারা।
মামুনের বাড়ি একই উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পাটপাড়া গ্রামে। তিনি নাটোর এনএস সরকারি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
প্রথম স্বামীর সাথে বিচ্ছেদ হওয়ার পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন খাইরুন। একবার আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্তও নিয়েছিলেন।
এই বিয়ে মামুনের পরিবার মেনে নিলেও শিক্ষিকার পরিবার মেনে নেয়নি। সামাজিকভাবে বিভিন্ন মহলে নানা কুৎসিত মন্তব্য করলেও সেসব তোয়াক্কা না করে নতুন সংসারে সুখেই দিন কাটাচ্ছিলেন তারা। কিন্তু মাত্র ছয় মাসের ‘সুখের সংসারের পর আজ লাশ উদ্ধার হলো শিক্ষিকার।
#ঢাকাটাইমস