পটুয়াখালীতে এক কলেজছাত্রকে অপহরণ করে তুলে নিয়ে জোর করে বিয়ে করার অভিযোগ উঠেছে এক তরুণীর বিরদ্ধে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভুক্তভোগী যুবক পটুয়াখালী সরকারি কলেজের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ছাত্র নাজমুল আকন (২৩)। তিনি মির্জাগঞ্জ উপজেলার মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নের জালাল আকনের ছেলে। একই উপজেলার গাজিপুর সাকিনের মো. আউয়ালের মেয়ে অভিযুক্ত ইশরাত জাহান পাখি (২৫)।
এ ঘটনায় নাজমুল বাদী হয়ে পটুয়াখালী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেছেন। নাজমুলকে অপহরণ এবং পরে জোর করে বিয়ের ভিডিও ফুটেজ আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে মামলাটি গ্রহণ করে পটুয়াখালী সদর থানাকে নথিভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
ভিডিওতে দেখা যায়, পাখি নামের ঐ তরুণীর বাম পাশে নাজমুল বসে আছেন। তার মাথা পিছন থেকে ধরে রেখেছে কয়েকজন যুবক। সেখানে ওই তরুণীতে নীল কাগজে সই করতে দেখা গেছে।
জানা যায়, মামলায় ওই তরুণীসহ অজ্ঞাতপরিচয় ছয় থেকে সাতজনকে আসামি করা হয়েছে।
নাজমুলের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল নোমান জানান, অনেকদিন ধরে নাজমুলকে মোবাইল ফোনে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রেমের প্রস্তাবসহ বিয়ের প্রলোভন দেখান ইশরাত জাহান পাখি। কিন্তু এসব প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গত ২৭ সেপ্টেম্বর পটুয়াখালী লঞ্চঘাট এলাকা থেকে নাজমুলকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে জোর করে একটি কাগজে দই নেন।
এদিকে শুক্রবার দুপুর থেকে ওই নারী নিজেকে নাজমুলের স্ত্রী দাবি করে নাজমুলের বাবার বাড়ি মির্জাগঞ্জে অবস্থান করছেন।
নাজমুলের সঙ্গে দীর্ঘ দুই বছর প্রেমের সম্পর্ক ছিল দাবি করে অভিযুক্ত তরুণী ইশরাত জাহান পাখি বলেন, নিজ ইচ্ছায় আমাকে বিয়ে করেছে নাজমুল। অপহরণ কিংবা জোর করে বিয়ের অভিযোগ মিথ্যা। এ কারণে বর্তমানে নাজমুলের বাড়িতে আছি।
আদালতের নির্দেশে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন। তিনি বলেন, তদন্ত করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
#বাংলাদেশ জার্নাল