মহামারী করোনাভাইরাসের দাপটে থমকে দাঁড়িয়েছে বিশ্ব। এই ভাইরাস ইতিমধ্যে বিশ্বের ২১০টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে।
কোভিড-১৯ প্রতিরোধে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখনও কোনো ওষুধের অনুমোদন দেয়নি।তবে বিজ্ঞানীরা নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
মার্কিন বিজ্ঞানীরা করোনা রোগীদের জন্য সুখবর বয়ে আনছেন।যুক্তরাষ্ট্রের পরীক্ষাগারে রেমদেসিভির নামের একটি অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ আশার আলো দেখাচ্ছে। মার্কিন বায়োফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থা গ্লিড সায়েন্সেসের তৈরি এ ওষুধ ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বা তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষাতেও সফল হয়েছে বলে দাবি করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
এ সাফল্যকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের করোনা-বিষয়ক টাস্কফোর্সের অন্যতম কর্তাব্যক্তি ও শীর্ষ মার্কিন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা অ্যান্থনি ফসিও।
গ্লিড সায়েন্সেসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের রেমদেসিভির ওষুধটি প্রয়োগ করে দেখা গেছে রোগীর অবস্থার উন্নতি হচ্ছে।
গ্লিড সায়েন্সেস বলছে, তাদের তৈরি ওষুধটি কোভিড-১৯ আক্রান্তদের যত দ্রুত দেয়া গেছে, তত তাড়াতাড়ি রোগীর অবস্থার উন্নতি হয়েছে। যাদের ওষুধটি দেরি করে দেয়া হয়েছে, তাদের চেয়ে দ্রুত উন্নতি হয়েছে যাদের ওষুধটি শুরুতেই প্রয়োগ করা হয়েছে।
এদিকে করোনার সম্ভাব্য ওষুধটির সফলতার খবরে বুধবার একলাফে পাঁচ শতাংশ বেড়ে গেছে গ্লিড সায়েন্সেসের শেয়ারদর।
বায়োফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থাটি জানিয়েছে, রেমদেসিভির ওষুধ প্রথমেই প্রয়োগে ৬২ শতাংশ রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে গেছে। সেখানে যাদের একটু দেরিতে ওষুধটি দেয়া হয়েছে, সে ৪৯ শতাংশ রোগীর অবস্থার উন্নতিও দেরিতে হচ্ছে।
মহামারী করোনাভাইরাসে বিশ্বব্যাপী ২ লাখ ২৮ হাজার ২৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন বিশ্বের ৩২ লাখ ২২ হাজার ৩৪৬ জন। তাদের মধ্যে বর্তমানে ১৯ লাখ ৯০ হাজার ৯৩৪ জন চিকিৎসাধীন এবং ৫৯ হাজার ৮১১ জন (৩ শতাংশ) আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন।