সবজি উৎপাদনে শেরপুরের খ্যাতি দেশব্যাপি। কিন্তু করোনা আতংকে শেরপুরের সবজির বাজারে ধস নেমেছে গত দুসপ্তাহ ধরে। বাজারে মানুষ নেই, সবজি ঢাকায় যাচ্ছে না। একদিকে নিদ্দিষ্ট সময় হলে সবজি ক্ষেতে রাখা যায়না, অপরদিকে পচনশীল পণ্য বলে কৃষক কম দামে বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছে। করোনার প্রভাবেই কৃষকদের কপাল পুড়েছে বলে কৃষকদের দাবী।
সবজির বিভন্ন পাাইকারি ঘুরে জানা গেছে, বেগুনের কেজি ৩০ টাকা থেকে ৪ টাকায় নেমেছে। শশার কেজি ৫ টাকা, কাঁচা মরিচের কেজি ৩৫ টাকা, এক বোঝা ডাটা (৮০টি ডেঙ্গা) ২০ টাকা, গাজরের কেজি ৫ টাকা এবং টমাটো ৪ টাকা কেজি দরে পাইকারি বিক্রি হচ্ছে। নতুন সবজি সজনার কেজি ৭০ টাকা। করলার ধরা (৫ কেজি ) ১০০ টাকা। তবে খুচরা বাজারে এসব সবজির দাম একটু বেশী। এসময় নতুন কিছু সবজি এলেও কৃষকরা দাম পাচ্ছে না। অথচ গ্রীস্ম কালিন এসময় নতুন সবজি বিক্রি করে চাষিরা বেশ কিছু লাভের মুখ দেখে। এখন সবজি বিক্রি করে উৎপাদন খরচ তো উঠছেই না গুনতে হচ্ছে লোকসান।
চরাঞ্চলের কৃষক তাজউদ্দিন, মালেক, ইয়াদ আলী জানিয়েছে, লোকসানে সবজি বিক্রি করে চোখে পথ দেখছেন না। এই অবস্থা চলতে থাকলে আগামি দিনে সবজির দাম আরও কমে যেতে পারে বলে চাষিদের ধারনা। আর তখন বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে। এই অবস্থায় চাষিদের সরকারি সহযোগীতা করা হোক এমন দাবী করেছেন সবজি উৎপাদনের সাথে জড়িতরা। কৃষকদের দাবী সরকারি ব্যবস্থাপনায় এসব সবজি ঢাকায় নেওয়া হোক।
কৃষকের সবজির দাম অনেকটা কমে গেছে স্বীকার করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচলক ড. মোহিত কুমার দে বলেছেন ক্ষতি গ্রস্থ কৃষদের প্রণোদনা দিতে সরকারকে জানানা হবে। সরকার কৃষি বান্ধব তাই এই মহাদূর্যোগে অবশ্যই কৃষদের পাশে দাড়াবে আশা করি।