কক্সবাজার তার নৈসর্গিক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত। তাইতো প্রতিবছর লাখ লাখ পর্যটক দেশ-বিদেশ থেকে ছুটে আসে। কিন্তু অনেকেই জানে না যে, এর বাইরেও জেলাটিতে দেখার মতো অনেক কিছুই আছে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য দশটি জায়গা নিয়ে এই আয়োজন-
১. হিমছড়ি: কক্সবাজার থেকে ১২ কিলোমিটার দূরত্বে হিমছড়ির অবস্থান। হিমছড়ির একপাশে রয়েছে সুবিস্তৃত সমুদ্র সৈকত আর অন্যপাশে রয়েছে সবুজ পাহাড়ের সারি। সেখানে একটি জলপ্রপাত রয়েছে, যা সেখানকার প্রধান পর্যটন আকর্ষণ।
২. রাডার ষ্টেশন: কক্সবাজার রাডার ষ্টেশনের অবস্থান হিলটপ সার্কিট হাউসের দক্ষিণ পাশের চূড়ায়। এখান থেকেই দেশব্যাপী ঝড়ঝাঞ্জা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছাসের পূর্বাভাস দেয়া হয়। রাডার যন্ত্রটি সুইডিশ শিশুকল্যাণ সংস্থা ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সহযোগিতায় ১৯৬৮ সালে স্থাপন করা হয়।
৩. বদর মোকাম: কক্সবাজারের বদর মোকাম মসজিদটি এই জেলার প্রাচীনতম মসজিদ। স্থানীয়ভাবে জনশ্রুতি আছে পীর বদরশাহ’র নামানুসারে এর নামকরণ করা হয়েছে। বাঁকখালী নদীর দক্ষিণ তীরে কক্সবাজার সদর থানার পার্শ্বে মসজিদটি অবস্থিত।
৪. হিলটপ সার্কিট হাউস: জেলা পরিষদ ভবনের পশ্চিম দক্ষিণে পাহাড়ের চূড়ায় মনোরম পরিবেশে হিলটপ সার্কিট হাউসের অবস্থান। অল্প সময়ের জন্য হলেও দার্জিলিং এর মতো মনে হবে। সেখান থেকে বঙ্গোপসাগরের উত্তাল তরঙ্গ ও পর্যটন নগরীর টপভিউ অবলোকন করা সম্ভব।
৫. অগ্গ মেধা বৌদ্ধ ক্যাং: কক্সবাজার সদরে ছোট বড় মিলিয়ে সাতটিরও বেশি বৌদ্ধ ক্যাং রয়েছে। আগ্গা মেধা ক্যাং ও মাহাসিংদোগীক্যাং সবচেয়ে বড়। এখানকার বৌদ্ধ মুর্তিগুলো দেখার মতো। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব বৌদ্ধ পূর্ণিমা, প্রবারণা পূর্ণিমা ও বিষু উৎসব এখানে উদযাপন হয়।
৬. মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র: বঙ্গোপসাগর থেকে আহরিত মাছের বেশিরভাগ এখানেই নামানো হয়। এটি ফিসারীজ ঘাট নামেও পরিচিত। বাঁকখালী নদীর তীরে অবস্থিত এটি।
৭. লবণ উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকা: দেশের চাহিদার ৮৫ শতাংশ লবণ উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বিপণন হয়ে থাকে ইসলামপুর ও নাপিতখালী এলাকা থেকে। কক্সবাজার শহর থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে এর অবস্থান।
৮. ঝিনুক মার্কেট: ঝিনুক শিল্পের রকমারি জিনিসপত্রের প্রধান বিক্রয় ও বিপনন কেন্দ্র। এর অবস্থান প্রধান সড়কে হোটেল হলিডের মোড়ের পশ্চিমে।
৯. কৃত্রিম হ্রদ: ডুলাহাজারা সাফারি পার্কের অভ্যন্তরে বন্যপ্রাণীর পানীয় জলের জন্য দু’টি কৃত্রিম হ্রদ রয়েছে।
১০. রাবার বাগান: রামু রাবার বাগান ভিন্ন আমেজের অপরূপ দর্শনীয় স্থান। প্রায় ২৯ হাজার একর জায়গার উপর বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন সংস্থার পরিকল্পনায় স্থাপিত দেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় রাবার বাগান এটি।