শেরপুরের শ্রীবরদীতে বিপ্লব (১৬) নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারজনকে আটক করেছে। রোববার মাঝ রাতে উপজেলার নিজমামদামারি কান্দাপাড়া এলাকা থেকে ওয়াজ শুনে বাড়ি ফেরার পথে এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। সোমবার (২৬ ফেব্রæয়ারি) ভোরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের কর্তব্যরত চিকিৎসক বিপ্লবকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত বিপ্লব পার্শ্ববর্তী জামালপুর জেলার বকশিগঞ্জ উপজেলার দড়িপাড়ার কাবিল মিয়ার ছেলে। সে শ্রীবরদী উপজেলার দহেরপাড়ের নানা হাজি আব্দুল মজিদের বাড়িতে থেকে মোহাম্মদ আলী মেমোরিয়াল বিদ্যানিকেতনে লেখা পড়া করে আসছিল। এইবার সে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছিল।
জানা গেছে, পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে রোববার রাতে মামদামারি কান্দাপাড়া ইবতেদায়ী মাদ্রাসায় ওয়াজ শুনতে আসে বিপ্লব। সেখানেই পার্শ্ববর্তী চরশিমুলচূড়ার মোশাররফ হোসেন নুদার ছেলে ও স্থানীয় কিশোর গ্যাংয়ের নেতা আরিফ হোসেন ও তার সঙ্গীদের সঙ্গে বিপ্লবের বাকবিতন্ডাতা হয়। পরে ওয়াজ শুনে নানার বাড়ি ফেরার পথে আরিফ ও তার সহযোগীরা বিপ্লবের ওপর হামলা চালিয়ে পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এরপর বিপ্লবকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে শ্রীবরদী উপজেলা হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে সোমবার ভোরে কর্তব্যরত চিকিৎসক বিপ্লবকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনার পর পুলিশ অভিযুক্ত আরিফ, মোখলেস, মনির ও ডিপটিকে আটক করেছে।
স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, চরশিমুলচূড়া এলাকায় একটি কিশোর গ্যাং গঠন করে অভিযুক্তরা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করছে। তারা এসব সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
বিষয়টি নিশ্চিত করে শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাইয়ুম সিদ্দিকী বলেন, এ ঘটনায় চারজনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য দোষীদের গ্রেপ্তারে পুলিশী অভিযান চলছে।