শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার মহারশী নদীর তীরবর্তী শহর রক্ষা বাঁধ এ বছরই পুনঃ নির্মাণ ও স্থায়ীভাবে সমস্যার সমাধান করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তার।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ক্ষতিগ্রস্থ বাঁধ ও প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করতে গিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় জেলা প্রশাসক বলেন, এই বাঁধটি যেহেতু প্রতি বছরই ভেঙে যায়, আমরা এর স্থায়ী সমস্যা সমাধানে দ্রুত কাজ করতে চাই। তিনি ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করার সময়ই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর প্রধানদের নির্দেশনা দিয়েছেন।
এদিকে চারদিনের টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার মহারশী নদীর তীরবর্তী শহর রক্ষা বাঁধ ভেঙে ঝিনাইগাতী উপজেলা সদর বাজার, উপজেলা পরিষদ কার্যালয়সহ চার ইউনিয়নের অন্তত ত্রিশ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে মহারশী নদীর বাঁধ ভেঙে এ ভেসে যায় আহমদনগর ও রামেরকুড়া এলাকার দেড় শতাধিক মাছের ঘেড়। পানির তোড়ে ধ্বসে পড়েছে মাটির সড়ক ও দিঘিরপাড় এলাকার পাকা সড়ক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বৃহস্পতিবার শেরপুরের ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ি উপজেলার অন্তত ৪০গ্রাম প্লাবিত হয়। এতে পানি বন্দী হয়ে পড়ে ১০হাজার মানুষ।
পাহাড়ি ঢলের কারণে শেরপুরে পুরাতন ব্রহ্মপুত্রসহ সকল নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। মহারশী নদীর পানির তোড়ে শহর রক্ষা বাঁধ ভেঙে দেড় শতাধিক মাছের ঘেড় ভেসে গেছে। গবাদি পশু, পরিবারের শিশু ও বৃদ্ধদের নিয়ে খাদ্য সংকটে রয়েছে নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষ।
স্থানীয়রা জানান, প্রতি বছরই ঝিনাইগাতীতে শহর রক্ষা বাঁধ ভেঙে পুরো উপজেলা প্লাবিত হয়। ক্ষতিগ্রস্থ হয় আবাদী ফসল, মাছের ঘেড়, বাড়িঘর ও মানব সম্পদ। দ্রুত সময়ের মধ্যে এই সমস্যা সমাধানের দাবী স্থানীয়দের।
এদিকে প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার মানুষদের দ্রুত সহায়তা প্রদানের আশ্বাস ও বাঁধ পুনঃনির্মাণ করার প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তার। তিনি বলেন, এ বছরই স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হবে।