সারা দেশে শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এবার পরীক্ষায় ২১ লাখ ৩৫ হাজার ৩৩৩ শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। এর মধ্যে ১০ লাখ ৭০ হাজার ৪৪১ ছাত্র ও ১০ লাখ ৬৪ হাজার ৮৯২ ছাত্রী। এবার প্রশ্নপত্র ফাঁস বন্ধে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। সকালে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি রাজধানীর আশকোনার বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করার কথা রয়েছে। আজ প্রথম দিন বাংলা (আবশ্যিক)
প্রথমপত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের আওতায় রয়েছে কোরআন মজিদ ও তাজবিদ পরীক্ষা। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত টানা তিন ঘণ্টা পরীক্ষা গ্রহণ চলবে। বাংলা দ্বিতীয়পত্র এবং ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয়পত্র ছাড়া সব বিষয়ে সৃজনশীল প্রশ্নে এবার পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে সব পরীক্ষার্থীকে ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ ও আসন গ্রহণ করতে হবে। কোনো পরীক্ষার্থী দেরিতে কেন্দ্রে প্রবেশ করলে তার নাম, রোল নং, রেজিস্ট্রেশন নম্বর লিখে রাখতে হবে। পরে তাদের তথ্যাদি সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ড ও মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে।
এছাড়া পরীক্ষার ২৫ মিনিট আগে এসএমএসের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের কাছে প্রশ্নেপত্রের সেট কোড জানিয়ে দেওয়া হবে। কেন্দ্র সচিব ছাড়া (ছবি তোলা যায় না এমন ফোন) অন্য কেউ মোবাইল ফোন/ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না।
গত বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, এবার প্রশ্নফাঁসের কোনো সুযোগ নেই। এ সংক্রান্ত বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ায় গত বছর প্রশ্নফাঁস হয়নি। এ কারণে সেসব পদক্ষেপ এবারও নেওয়া হয়েছে।
সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ মার্চ, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ৬ মার্চ এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে ২৪ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ২০১৮ সালের তুলনায় এ বছর ১ লাখ ৩ হাজার ৪৩৪ শিক্ষার্থী বেশি পরীক্ষা দেবে।
এর মধ্যে ছাত্র সংখ্যা বেড়েছে ৪৭ হাজার ২২৯ জন এবং ছাত্রী সংখ্যা বেড়েছে ৫৬ হাজার ২০৫ জন। এবার আটটি সাধারণ বোর্ডে এসএসসি পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৭ লাখ ১০২ জন, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে ৩ লাখ ১০ হাজার ১৭২ জন এবং কারিগরি ভোকেশনালে ১ লাখ ২৫ হাজার ৫৯ জন রয়েছে। মোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৩ হাজার ৪৯৭ এবং প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৮ হাজার ৬৮২টি।
এ ছাড়াও বিদেশি আটটি পরীক্ষা কেন্দ্রে ৪৩৪ পরীক্ষার্থী রয়েছে।