চলতি বছরের আটকে থাকা এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা হবে কি না, হলেও কীভাবে হবে, আর না হলে ফল কীভাবে নির্ধারণ করা হবে, সে বিষয়ে জানাতে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে আসছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) বেলা ১১টায় ভার্চুয়ালি এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।
জানা গেছে, ২০২১ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব না হলে বিকল্প পদ্ধতিতে পাস করানোর চিন্তা-ভাবনা করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ জন্য একাধিক প্রস্তাব তৈরি করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়েছে।
প্রস্তাবে রচনামূলক বা সৃজনশীল প্রশ্ন বাদ দিয়ে কেবল বহুনির্বাচনী প্রশ্নে (এমসিকিউ) পরীক্ষা এবং বিষয় ও পূর্ণমান (পরীক্ষার মোট নম্বর) কমিয়ে পরীক্ষা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রতি বিষয়ের দুই পত্র একীভূত করার ভাবনা রয়েছে।
পাশাপাশি ২০০ নম্বরের বদলে ১০০ নম্বরে পরীক্ষা নেওয়ার প্রস্তাবও রয়েছে। কিন্তু উভয়ক্ষেত্রেই করোনা পরিস্থিতির উন্নতি জরুরি। সংক্রমণের হার ১০ শতাংশের নিচে নেমে এলে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে পরীক্ষা নেওয়া হবে। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে কেন্দ্রের সংখ্যা বর্তমানের তুলনায় দ্বিগুণ করে এসব পরীক্ষা নেওয়া হবে।
এমনটি সম্ভব না হলে এসএসসির ক্ষেত্রে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষার ফলের ৫০ শতাংশ এবং অ্যাসাইনমেন্ট ও ক্লাস অ্যাকটিভিটিজের ওপর ৫০ শতাংশ ফলাফল নিয়ে ফল প্রস্তুত করা হতে পারে। এইচএসসির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর এসএসসির ফলের ৫০ শতাংশ, জেএসসির ২৫ শতাংশ এবং অ্যাসাইনমেন্টের ফলের ২৫ শতাংশ সমন্বয় করে ফল প্রকাশের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী একটি প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছেন। শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির কাছে সেই সিদ্ধান্তও পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তুলে ধরতে সংবাদ সম্মেলন করে তা জানিয়ে দেওয়া হবে। এ সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে শিক্ষা বোর্ডগুলো কাজ শুরু করবে বলে জানা গেছে।