মেসি, নেইমার এবং কিলিয়ান এমবাপে ছিলেন না দলে। এ কারণে, প্রথম ম্যাচে লরিয়েঁর বিপক্ষে গোল পায়নি পিএসজি। এটা ছিল একটা বড় অজুহাত। মেসি-নেইমার তো এমনিতেই নেই। ক্লাব ছেড়ে গেছেন। এমবাপে থেকেও ছিলেন না। তাকে প্রথম ম্যাচে দলে রাখেনি পিএসজি।
নতুন কোচ লুইস এনরিকে দ্বিতীয় ম্যাচে পেয়েছেন এমবাপে এবং ওসমান ডেম্বেলের মত দুই সেরা ফুটবলারকে। যদিও এ দু’জনকে তিনি মাঠে নামিয়েছেন ম্যাচের ৫১তম মিনিটে। মাঠে নামার পর ৬২তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে একটি গোলও করেছেন এমবাপে।
কিন্তু জয় ভাগ্যে জোটেনি পিএসজির। দ্বিতীয় ম্যাচেও তাদেরকে ১-১ গোলে ড্র করতে হয়েছে তুলুজের সঙ্গে। ৮৭ মিনিটে পেনাল্টি থেকে পিএসজির এই গোলটি পরিশোধ করে দেন জাকারিয়া আবুখলাল।
চুক্তি বিষয়ক জটিলতার কারণে এমবাপে পিএসজিতে থাকবেন কি থাকবেন না, তা নিয়ে বেশ দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছিলো। পিএসজি তাকে ছাড়াই প্রাক মৌসুম সফর করে এসেছিলো। মূল দলের সঙ্গে অনুশীলনও করতে দেয়নি। শেষ পর্যন্ত দুই পক্ষেই বরফ গলে। যে কারণে, শনিবারের ম্যাচে এমবাপেকে দলে পায় পিএসজি। কিন্তু ফিরে আসলো না এখনও তাদের ভাগ্যে।
মাঠে নামার ১১তম মিনিটের মাথায় গোল করেন এমবাপে। বার্সা থেকে আসার পর পিএসজির জার্সিতে ওসমান ডেম্বেলেরও অভিষেক হলো এই ম্যাচে। কিন্তু তাতেও ফরাসী ক্লাবটির ভাগ্য ফিরলো না।
পিএসজি কোচ লুইস এনরিকে বলেন, ‘প্রথম ৬০ মিনিট আমাদের বেশ ভালো রিদম ছিল। প্রতিপক্ষ আমাদের গোলমুখে খুব একটা আসতেই পারেনি।’
কিন্তু এমবাপের গোলের পরই দলের মধ্যে পরিবর্তন চলে এসেছিলো বলে মনে করেন এনরিকে। তিনি বলেন, ‘গোলের পর আমরা একটা ক্রেজি মোমেন্টে পৌঁছে যাই। খেলার নিয়ন্ত্রণও হারিয়ে ফেলি তখন। আমি জানি, কয়েকজন খেলোয়াড় আছেন, যারা বল দখলে রাখাটা যেন পছন্দই করেন না। আমাদেরকে অবশ্যই আরও অনেকগুলো সুযোগ তৈরি করা প্রয়োজন ছিল। সবচেয়ে বড় কথা, অবশ্যই প্রতিপক্ষকে সুযোগ করে দেয়া থেকে বিরত রাখা আমাদের কর্তব্য ছিল। যা সঠিকভাবে পালন করা হয়নি।’