এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় শূন্য পাশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে এসব প্রতিষ্ঠানকে শোকজ করার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সন্তোষজনক জবাব না পেলে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে কোনো প্রতিষ্ঠানের এমপিও বাতিল করা হতে পারে।
২৮ জুলাই এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এতে ৪৮ প্রতিষ্ঠানের কেউ পাশ করেনি। শূন্য পাশ এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪১টিই মাদরাসা। বাকি সাতটি স্কুল। এর মধ্যে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে রয়েছে দুটি স্কুল। আগের বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে শূন্য পাশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ৫০টি।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) এবং মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এমপিও নীতিমালা অনুসারে, মফস্বল শহরের দাখিল মাদ্রাসার ক্ষেত্রে এমপিওভুক্ত হতে ১৮ জন পরীক্ষার্থী দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ও ৫৫ শতাংশ শিক্ষার্থী পাশ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আর মফস্বল এলাকার মাধ্যমিক স্কুলের ক্ষেত্রে ২৫ জন পরীক্ষার্থী ও ৫৫ শতাংশ পাশের হার বাধ্যতামূলক। প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির আদেশে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, নীতিমালা অনুযায়ী যোগ্যতা বাজায় রাখতে না পারলে প্রতিষ্ঠানগুলো এমপিও স্থগিত হবে।
সে অনুযায়ী শূন্য পাশ করা প্রতিষ্ঠানগুলো এমপিও স্থগিত বা শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতনভাতা আপাতত স্থগিত করার বিষয়টিও ভাবা হচ্ছে। মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক (প্রশাসন) মো. জাকির হোসাইন জানান, দাখিলে শূন্য পাশ প্রতিষ্ঠানের সবই এমপিওভুক্ত। এ প্রতিষ্ঠানগুলোর এমপিও কেন বন্ধ করা হবে না, তা জানতে চেয়ে তাদের শোকজ করা হবে। জবাব পেলে এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।