শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে বহুল প্রতীক্ষিত এমএ বারী লিজেন্ডস কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ট্রফি ও জার্সি উন্মোচন করা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় ঝিনাইগাতী পাঞ্জেরী মডেল পাবলিক স্কুলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে টুর্নামেন্টের ট্রফি ও জার্সি উন্মোচিত হয়। এ সময় লটারির মাধ্যমে চারটি দলের খেলা ও খেলার সময় নির্ধারণ করা হয়।
ঈদের দ্বিতীয় দিন উদ্বোধনী খেলায় অংশগ্রহণ করবেন লিজেন্ডস অব মহারশি বনাম লিজেন্ডস অব গজনী অবকাশ এবং ঈদের তৃতীয় দিন দ্বিতীয় খেলায় অংশগ্রহণ করবেন লিজেন্ডস অব সীমান্ত বনাম লিজেন্ডস অব সোমেশ্বরী।
লিজেন্ডস কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট এর পরিচালনা কমিটির আহবায়ক মোঃ সাখাওয়াত হোসেন পাঠান এর সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম আহ্বায়ক এবিএম তামজীদ এর সঞ্চালনায় এ সময় বক্তব্য রাখেন লিজেন্ডস অব মহারশি দলের অধিনায়ক মোহাম্মদ ফারুক আহমেদ ফারুক, লিজেন্ডস অব সীমান্ত দলের অধিনায়ক মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন তুহিন, লিজেন্ড কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট এর পরিচালনা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক নাঈম রাহাত পাপ্পু এবং টুর্নামেন্টের প্রস্তাবক রাকিবুল হাসান শিমুল। অনুষ্ঠানে টুর্ণামেন্টের সম্মানিত স্পন্সর মোঃ আল-আমিন সেলিম এবং মোঃ রাশেদুল ইসলাম হিরা।
আয়োজন সম্পর্কে পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক মো: সাখাওয়াত হোসেন পাঠান শেরপুর টাইমসকে বলেন, সবুজে ঘেরা ঝিনাইগাতী উপজেলায় আশি এবং নব্বই এর দশকে ক্রিকেট এর একটি ঐতিহ্য ছিলো। থানা রোড স্পোর্টিং ক্লাব, উপজেলা ক্রিকেট একাদশ, নিউ স্টার ক্রিকেট ক্লাব, শালচূড়া স্পোর্টিং ক্লাব, মোল্লাপাড়া ক্রিকেট ক্লাব, খৈলকুড়া ক্রিকেট একাদশ, মরিয়ম নগর চাসং গিত্তালনী ক্রিকেট ক্লাব সহ আরও অনেক নামকরা ক্রিকেট ক্লাবগুলোর পদচারণা এ উপজেলার ক্রিকেটের প্রাণ ছিলো। মানুষ জন ক্রিকেট মাঠমুখী ছিলো। বছরের প্রায় পুরোটা সময় জুড়ে ঝিনাইগাতী স্টেডিয়াম মাঠে ক্রিকেট টুর্নামেন্ট চলতো। কিন্তু স্মার্টফোনের এই যুগে ছেলেরা আজ অনেকটাই ঘরমুখো। মাঠের ক্রিকেট আজ প্রায় বিলুপ্তির পথে। সেই পথ থেকে উত্তরণের জন্য “মোবাইল ছেড়ে মাঠে চল, মাঠের খেলায় বাড়ে বল”এই স্লোগানে বর্তমান প্রজন্ম কে আবারো মাঠের খেলায় উদ্বুদ্ধ করাই আমাদের আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য।
উল্লেখ্য আসছে ঈদুল আযহার দ্বিতীয় দিন মাঠে গড়াচ্ছে লিজেন্ডস কাপ ক্রিকেট টুর্নােেমন্ট ২০২১ এর প্রথম আসর। এখন চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। বর্ণিল এই আয়োজন উপলক্ষে বেশ উৎসাহ উদ্দীপনা বেড়েছে ঝিনাইগাতীর ক্রিড়াঙ্গনে। ‘‘মোবাইল ছেড়ে মাঠে চল, মাঠের খেলায় বাড়ে বল’’এই স্লোগানে সাবেক ক্রিকেটারদের নিয়ে ঈদুল আযহার দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিন (দুই দিন ব্যাপী) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এই টুর্নামেন্ট।