যেকোন সময় গুম বা জীবন নাশের আঘাত আসতে পারে বলে ধারণা করে নিজে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে সাংবাদিক সম্মেলনে দাবী করেছেন শেরপুর-৩ (শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতী) আসনে ঐক্যফ্রন্ট সমর্থিত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী মাহমুদুল হক রুবেল । এবার উল্টো আওয়ামীলীগ-মহাজোট থেকে (নৌকা) প্রতীকের প্রার্থী একেএম ফজলুল হক চাঁন সাংবাদিক সম্মেলন করে নিজে এবং দলের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তিনি। আজ (১৭ ডিসেম্বর) সোমবার দুপুর আড়াইটায় শেরপুর শহরের সজবরখিলাস্থ নিজ বাসায় একেএম ফজলুল হক দাবী করে বলেন, তিনি (রুবেল) এমন কোন প্রার্থী না যে, তাকে গুম করে রাজনৈতি করতে হবে। পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে আমাদের রাজনৈতি করতে হবে। এরকম তিনি কোন প্রার্থী না। তিনি আরো বলেন, যুবলীগ ও ছাত্রলীগকে জড়িয়ে ধানের শীষের প্রার্থী রুবেল যে অভিযোগ করেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভীত্তিহীন। এর তীব্র নিন্দ্র ও প্রতিবাদ জানায়। প্রয়োজনে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। ‘বিএনপি মনোনীত প্রার্থী নিজেই সন্ত্রাস এবং গাড়ীতে যারা থাকে তারা সবাই সন্ত্রাস’।
একেএম ফজলুল হক আরো দাবী করেন, আমাদের দলের নেতাকর্মীরা শান্তিপ্রিয় ভাবে নির্বাচন করছে। আমাদের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন গ্রুপে ভাগ হয়ে রাতে-দিনে কাজ করছে। কারণ তাদের উপর যেকোন মুহুর্তে আক্রমন করতে পারে ঐক্যফ্রন্ট সমর্থিত ধানের শীষ প্রার্থী মাহমুদুল হক রুবেল। ধানের শীষের প্রার্থী তার গাড়ীতে অস্ত্র নিয়ে নির্বাচনের প্রচারনা করে। ফজলুল হক আরো বলেন, আমরা খুবই আতঙ্কে আছি যেকোন মুহুর্তে দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন শ্রীবরদী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোতাহারুল ইসলাম লিটন, ঝিনাইগাতী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আমিরুজ্জামান লেবু, শ্রীবরদী কেকেরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এডিএম শহিদুল ইসলাম, যুবলীগের আহ্বায়ক জুয়েল, ছাত্রলীগের আহ্বয়াক মেরাজ উদ্দিন চৌধুরী ও আওয়ামীলীগে নেতাকর্মী এবং স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা।
উল্লেখ্য, শেরপুর-৩ (শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতী) আসনে বিএনপি-ঐক্যফ্রন্ট সমর্থিত (ধানের শীষ) প্রতীকের প্রার্থী মাহমুদুল হক রুবেল ১৭ ডিসেম্বর সোমবার দুপুর ১টায় শেরপুর শহরে গৃদ্দানারায়নপুরস্থ তার নিজ বাসায় রুবেল বলেন, ‘আমি একা একটা মোটরসাইকেলে প্রচারনায় বের হবো। সেজন্য আমি আপনাদের আগেই অনুরোধ করছি আমি যদি গুম হয়ে যাই অথবা দুর্বৃত্তদের হাতে মৃত্যুবরণ করি তার সম্পূর্ণ দায়বার ডিবি পুলিশের’।