এবার শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার অদম্য মেধাবী শিক্ষার্থী আল আমিনের পাশে দাঁড়ালেন গাড়ি চালক মো. রফিকুল ইসলাম।
তিনি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার সোনা কাঠিয়া গ্রামের মৃত জুলফু মিয়ার ছেলে এবং বর্তমানে ঢাকা মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে গাড়ি চালক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। গাড়ি চালক রফিকুল আজ বৃহস্পতিবার সকালে আল আমিনের বাড়ির পাশে বিকাশ এজেন্ট (০১৯৯৬৭৮৮৫৩৫) নাম্বারে ১৯ হাজার ৫’শ টাকা পাঠিয়েছেন।
টাকা পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আল আমিন। গাড়ি চালক রফিকুল এ প্রতিবেদককে মুঠোফোনে বলেন, আল আমিনের বইকেনা ও একাডেমিক খরচ চালিয়ে যাওয়ার জন্য ১৯হাজার ৫’শ টাকা দিলাম। আমি বেঁচে থাকলে তার পড়ালেখার খরচের জন্য প্রতি মাসে ১৫’শ থেকে ২ হাজার টাকা দিয়ে যাবো।
উল্লেখ্য, মো. আল আমিন শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার কাঁঠালতলী গ্রামের মো. হাবিবুর রহমানের ছেলে। বাবা দিনমুজুর করে সংসার চালায় তাদের। হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান হওয়া সত্বেও নিজের ইচ্ছাশক্তি ও বেসরকারী সেবা মূলক প্রতিষ্ঠান ডপস’র আর্থিক সহায়তায় বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।
তিনি এ বছর গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘এইচ’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় স্থান পান। কিন্তু ভর্তির ২০ হাজার টাকা যোগার না হওয়ায় তার ভর্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। এ নিয়ে গত ১০ ডিসেম্বর শেরপুরের প্রথম অনলাইন পত্রিকা ‘শেরপুর টাইমস’ এ ‘স্বপ্ন পুরণের সুযোগ পেয়েও বর্তি অনিশ্চিত’ এই শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।