গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত তিন ম্যাচ সিরিেজে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৬ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে স্বস্তির জয় পেয়েছে সফররত বাংলাদেশ দল। টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে টানা হারের পর এটাই উইন্ডিজ সফরে রাসেল ডোমিঙ্গোর শিষ্যদের প্রথম জয়। বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে নির্ধারিত ৪১ ওভারে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান তুলে স্বাগতিকরা। রান তাড়া করতে নেমে ৫৫ বল ও ৬ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় তামিম ইকবাল বাহিনী। তাতেই সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল টাইগাররা।
মাত্র ১৫০ রানের লক্ষ্যে রেখে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় ওভারেই ওপেনার লিটন কুমার দাসকে হারায় বাংলাদেশ। আকিল হোসেনের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পরার আগে ১ রান করতে পেরেছেন তিনি। দ্বিতীয় উইকেটে নাজমুল হোসেন শান্তকে সঙ্গে নিয়ে ৪০ রানের জুটি গড়েন আরেক ওপেনার তামিম ইকবাল খান। তামিম ফেরেন ৩৩ রানে।
আর তৃতীয় উইকেট জুটিতে মাহমুদউল্লাহ ও নাজমুল হোসেন শান্ত মিলে ৪৯ রান তুলতেই জয়ের ভিত তৈরি হয়ে যায়। কিন্তু জয় নিয়ে মাঠ ছাড়া হয়নি শান্তর। ৪৬ বলে পাঁচটি চারের মারে ৩৭ রান করেন বাঁ-হাতি এই ব্যাটার। পরে আরও একটি উইকেট হারিয়েছে টাইগার শিবির। ১৭ বলে ৯ রান করে আউট হয়েছেন আফিফ হোসেন ধ্রুব।
পরে উইকেটকিপার ব্যাটার নুরুল হাসান সোহানকে সঙ্গে নিয়ে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন দলের অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ৪১ রানে রিয়াদ ও ২০ রানে সোহান অপরাজিত থাকেন।
এ আগে বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে টস অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রায় দুই ঘণ্টা পরে। তাই ম্যাচটি ৪১ ওভারে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়ে দেন আম্পায়াররা। এদিন টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক তামিম ইকবাল খান। ব্যাট করতে নেমে স্বাগতিকদের শুরুটা ভালো হতে দেননি কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ওপেনার সাই হোপকে ফেরান তিনি। আউট হওয়ার পূর্বে কোনো রান তুলতে পারেননি হোপ। আরেক ওপেনার কাইল মেয়ার্সকে ১০ রানে ফেরান মেহেদি হাসান মিরাজ।
তৃতীয় উইকেটে ম্যাচের হাল ধরার চেষ্টা চালান ব্রেন্ডন কিং ও শামারাহ ব্রকস। কিন্তু জুটিতে বেশি রান তুলতে পারেননি এই ব্যাটার। ইনিংসের ২১তম ওভারে পরপর দুই বলে এই দুই ব্যাটারকে ফেরান শরিফুল ইসলাম। ব্রকস ৩৭ ও কিং ৮ রান করেন। এছাড়া রোভম্যান পাওয়েল ৯, রোমারিও শেফার্ড ১৫, নিকোলাস পুরান ১৮, আকিল হোসেন ৩ ও গোদাকেস মতি করেন মাত্র ৭ রান।
মাত্র ১১০ রানে ৯ উইকেট হারানোর পর দশম উইকেটে শেষ পর্যন্ত খেলে যান এন্ডারসন ফিলিপ ও জেইডেন সিলস। এ সময় দুজন মিলে ৪৭ বলে গড়েন অপ্রতিরোধ্য ৩৯ রানের জুটি। ২২ বলে ২১ রানে এন্ডারসন ফিলিপ ও ২৩ বলে ১৬ রানে জেইডেন সিলস অপরাজিত থাকেন।
বাংলাদেশের পক্ষে ৮ ওভার বল করেন একটি মেডেনসহ সর্বোচ্চ চারটি উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম। ৯ ওভারে ৩৬ রানের খরচায় ২টি মেডেনসহ তিনটি উইকেট নেন ডানহাতি স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ। এছাড়া একটি উইকেটের দেখা পেয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান।