নেইমার-কিলিয়ান এমবাপে পেলেন গোল। সতীর্থদের দুটি গোলে অবদান রাখলেন পুরো ম্যাচে দুর্দান্ত খেলা লিওনেল মেসি। আক্রমণভাগের এই তিন তারকার জ্বলে উঠা ম্যাচে বড় জয় পেলো পিএসজি।
বুধবার রাতে তুলুজের মাঠ থেকে ৩-০ গোলের জয় নিয়ে ফিরেছে পিএসজি। আগের ম্যাচে পয়েন্ট হারানোর হতাশা ঝেড়ে আক্রমণাত্মক ফুটবল উপহার দেয় ক্রিস্টোফে গাল্টিয়ের দল।
ম্যাচে ৬৩ শতাংশ বল দখলে রেখে মোট ২০টি শট নেয় পিএসজি, যার মধ্যে ১৩টিই ছিল লক্ষ্যে। তুলুজের গোলরক্ষক দুর্দান্ত সব সেভে বাঁচিয়ে দেন কমপক্ষে চার থেকে পাঁচটি গোল।
প্রথম সুযোগটা অবশ্য পেয়েছিল তুলুজই। ম্যাচের সপ্তম মিনিটে সতীর্থের ক্রস বক্সে বুক দিয়ে নামিয়ে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রাফায়েল রাতাও শট নিলে গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা পা দিয়ে কোনোরকমে ফিরিয়ে দেন।
পরের মিনিটেই সুযোগ আসে পিএসজির সামনে। বক্সের ভেতর কয়েকজনের মাঝ দিয়ে মেসির বাঁ পায়ের শট কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন স্বাগতিক গোলরক্ষক মাক্সিম।
অষ্টাদশ মিনিটে আর্জেন্টাইন সুপারস্টারের শট অল্পের জন্য লক্ষ্যে থাকেনি। ২৫তম মিনিটে বক্সের ভেতর থেকে মেসির আরেকটি শট ঝাঁপিয়ে ফেরান গোলরক্ষক।
তবে ৩৭ মিনিটে ঠিকই গোল হজম করে বসে তুলুজ। মেসির থ্রু বল ধরে এবার জাল খুঁজে নেন নেইমার। লাইন্সম্যান অবশ্য শুরুতে অফসাইডের পতাকা তুলেছিলেন। তবে ভিএআর দেখে গোল দেন রেফারি।
দ্বিতীয়ার্ধের চতুর্থ মিনিটে মেসির ফ্রি কিক ঝাঁপিয়ে পড়ে আটকান তুলুজ গোলরক্ষক। পরের মিনিটেই ব্যবধান বাড়ান এমবাপে। সেই গোলেও অবদান মেসির। বাঁ দিক দিয়ে বক্সে ঢুকে একজনকে কাটিয়ে এমবাপেকে পাস দেন তিনি, ডান পায়ের শটে সহজেই বাকি কাজটা সারেন ফরাসি ফরোয়ার্ড।
৮৩তম মিনিটে মেসিকে তুলে আশরাফ হাকিমিকে নামান পিএসজি কোচ। নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে ব্যবধান ৩-০ করেন জোয়ান বের্নাত। এমবাপের শট পোস্টে লেগে গোলরক্ষককে ছুঁয়ে চলে গিয়েছিল স্প্যানিশ ডিফেন্ডারের সামনে। সুযোগটা লুফে নিতে ভুল করেননি তিনি।