লিওনেল মেসি ইউরোপ ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়ে সৃষ্টি করেছেন ইতিহাস। ইন্টার মিয়ামির হয়ে সপ্তম ম্যাচেই শিরোপা জয় করেছেন তিনি। এমনকি এটিই মেজর লিগ সকারের ক্লাবটির ইতিহাসে সর্বপ্রথম কোনো ট্রফি জয়। একই সঙ্গে এর মাধ্যমে ফুটবলের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি শিরোপা জয়ী একমাত্র ফুটবলারও এখন আর্জেন্টাইন অধিনায়কই। এই বয়সেও পায়ের জাদু দেখিয়ে যাচ্ছেন লিওনেল মেসি। এবার আরেকটি ফাইনালের লক্ষ্যে আগামী ২৪ আগস্ট মাঠে নামবে মিয়ামি।
এবার মেসিদের নতুন মিশন ইউএস ওপেন কাপ। আসরের সেমিফাইনালে ২৪ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) বাংলাদেশ সময় ভোর ৫টায় এফসি সিনসিনাটির মুখোমুখি হবে ডেভিড বেকহ্যাম দল। এদিকে ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে সিনসিনাটির কোচ প্যাট নুনানের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, মেসিকে আটকাতে কোন কৌশল অবলম্বন করবেন তিনি। জবাবে প্রশ্নটাকেই ‘হাস্যকর’ বললেন নুনান। নোনান এর উত্তরে সোজাসাপ্টাই বলেছেন, মেসিকে আটকানোর চিন্তা বোকামি।
তিনি বলেন, ‘কেউ কেউ মত দিচ্ছে যে, সার্জিও বুসকেটসকে মার্ক করে এবং তার খেলা আটকে দিয়ে কি পারা সম্ভব? ঠিক আছে। কিন্তু তখন অন্য খেলোয়াড়েরা বেশি জায়গা পাবে এবং তারা আপনার ক্ষতি করতে পারে। সবাই চেষ্টা করছে খুবই ভালো এই দলটিকে আটকানোর উপায় খুঁজে বের করতে। কিন্তু কেউই তা পারছে না।’
এরপর নোনান বলেন, ‘মেসির ক্ষেত্রে বাস্তবতা হচ্ছে, গত দুই দশক ধরে সর্বোচ্চ স্তরের ফুটবলে খুব বেশি ক্ষেত্রে এটা করা সম্ভব হয়নি। আর যদি আশা করা হয় যে এর উত্তর আমাদের কাছে থাকবে, তবে সেটা বোকামি। সে এখনো শীর্ষ স্তরের ফুটবল খেলছে এবং বিশ্বকাপ জিতে এসে আরো উজ্জীবিত।’
তিনি যোগ করেন, ‘মেসি আসার আগে তারা ১১টি লিগ ম্যাচে জিততে পারেনি। আর এখন তারা একটি ম্যাচেও হারেনি। এর একটি কারণ দলে বিশ্বসেরা খেলোয়াড় বা বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের একজন থাকা। এর ফলে পেশাদারত্ব থেকে মাঠের খেলার গুণগত মানসহ সবকিছুতে পরিবর্তন এসেছে।’
মূলত লিগস কাপ থেকেও এই ইউএস ওপেন পুরোনো টুর্নামেন্ট। যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ১০০টি ক্লাব এই অংশ নিয়ে থাকে। ১৯১৩-১৪ মৌসুমে শুরু হয়েছিল ইউএস ওপেনের টুর্নামেন্ট। সে হিসেবে এটি শতবছরের অধিক পুরোনো। বর্তমানে টুর্নামেন্টটির চ্যাম্পিয়ন দল অরল্যান্ডো সিটি।