সরকারিভাবে বিনামূল্যে কৃষি প্রণোদনা বিতরণ, উৎপাদন খরচ কম, দাম ভালো ও চাহিদা বেশি থাকায় শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে ভুট্রা চাষে দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে। শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ভুট্রা চাষ অনেকটা বেশিই হয়েছে। আবহাওয়া অনুক‚লে থাকায় অন্য বছরের তুলনায় ফলনে আশানুরূপ সাফল্য পাবে বলে চাষিরা আশা করছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ভুট্রা চাষের জন্য ১৮০ জন চাষিকে সরকারিভাবে বিনামূল্যে কৃষি প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। এবার এ উপজেলায় প্রায় ৬০০ জন চাষি ১৩০ হেক্টর জমিতে ভুট্রা চাষ করেছেন। এর আগে গত বছর এ উপজেলায় ৯০ হেক্টর জমিতে ভুট্রা চাষ হয়েছিল।
রামেরকুড়া এলাকার চাষি শফিকুল ইসলাম বলেন, কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় ৫০ শতক জমিতে জমিতে উচ্চ ফলনশীল জাতের ভুট্রা চাষ করেছি। উপজেলা থেকে সার্বিক সহযোগিতায় গত বছরের থেকে চলতি বছর ব্যাপক লাভের আশা করছি।
চাষি সাদ্দাম মন্ডল বলেন, গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার সবকিছুর খরচ বেড়েছে। তবে গতবার ভাইরাসের কারণে অনেক ভুট্রা গাছের ক্ষতি হয়েছিল। আশা করছি এবছর সবমিলিয়ে খরচ কিছুটা বাড়লেও বেশি হলেও লাভবান বেশি হবো।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন দিলদার বলেন, কৃষি প্রণোদনা বিতরণ, অনুকূল আবহাওয়া, কম খরচে বেশি ফলন, অন্য ফসলের চেয়ে পরিচর্যা খরচ ও রোগবালাই কম হওয়ায় ভুট্রা চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। ভুট্টা চাষে সহায়তা অব্যাহত থাকায় উৎপাদনও বেড়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ উপজেলায় একসময় ভুট্রা চাষ খুব একটা বেশি দেখা যেত না, কিন্তু এবার উপজেলার বেশ কিছু ফসলের মাঠে ভুট্রার চাষের দেখা মেলে। গত বছর উপজেলায় মাত্র ৯০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ হয়েছিল। এ বছর চাষ হয়েছে ১৩০ হেক্টর জমিতে।