দুর্বত্তদের হাতে নিহত শেরপুর সদরের মধ্য খুনুয়া গ্রামের ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালক উজ্জল হোসেনের অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন সাবেক এমপি ফাতেমাতুজ্জহুরা শ্যামলী। ৮মে রাতে সাবেক এ এমপি উজ্ঝল হোসেনের বাড়ীতে যান। তিনি উজ্জলের সেলাই প্রশিক্ষন প্রাপ্ত এক মেয়ের জন্য একটি সেলাই মেশিন, নগদ পাঁচ হাজার টাকা প্রদান করেন ওই পরিবারকে। এ সময় তিনি পরবর্তীতেও এ পরিবারকে সাহায্য সহযোগিতা প্রদানসহ ন্যায় বিচার প্রাপ্তির জন্য সব ধরনের সহযোগিতা করারও আশ্বাস দেন।
শেরপুর সদরের মধ্য খুনুয়া গ্রামের মৃত হলু মিয়ার ছেলে ও তার পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম সদস্য ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালক উজ্জ্বল হোসেন (৪০) কে ২৮ এপ্রিল রাতে খুন করে অটোরিক্সা ছিনতাই করে নিয়ে যায় দুবৃৃত্তরা। ২৯ মে শেরপুর সদর হাসপাতালে স্বামীর ময়না তদন্তের পর লাশ নিয়ে আসতে উজ্জলের গর্ভবতী স্ত্রী। আর সেখানে গেলে ব্যাথা অনুভব হলে তাকে স্থানীয় মাতৃসদনে নিয়ে গেলে এক মেয়ে সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়। এনিয়ে উজ্জলের ৬ মেয়ে, এক ছেলে, স্ত্রী ও বৃদ্ধ মাসহ ৯ সদস্যের রুপ নেয়। উপার্জনের একমাত্র অভিভাবককে হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে তারা। দিশেহারা এ পরিবারের দু:খ দূর্দশার কথা শুনে সাবেক এমপি ও শেরপুর জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি ফাতেমাতুজ্জহুরা শ্যামলী ছুটে যান উজ্ঝলের বাড়ীতে।
এসময় শেরপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা মানবাধিকার কমিশনের সভাপতি মো: মেরাজ উদ্দিন, প্রেসক্লাবের প্রচার সম্পাদক জুবায়দুল ইসলাম, জেলা মানবাধিকার কমিশনের সহসভাপতি আমিনুল ইসলাম রাজু, জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবা রহমান শিমু, আওয়ামী লীগ নেত্রী রোজিনা তাসমিন, সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি ফেরদৌসী আক্তার শিখা, শহর যুব মহিলা লীগের সভাপতি সেতারা পারভীন পরশ, সাধারণ সম্পাদক সাবিকুন নাহার বন্যা, জেলা যুব মহিলা লীগ নেত্রী লতিফা আক্তার লাকী, পূজা পাল, মুক্তি বিশ্বাস, নাহিদ রহমান জুলি, বৃষ্টি সাহা, সুমি বিশ্বাস, রিক্তা খাতুনসহ জেলা, উপজেলা ও শহর যুব মহিলা লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।