নাঈম ইসলাম : শেরপুরে তেমন কোন বিনোদন কেন্দ্র না থাকায় ঈদের ছুটিতে মানুষের ঢল নেমেছিল শেরপুর-জামালপুর সেতুতে। ঈদ আনন্দ প্রিয়জনদের সাথে ভাগ করে নিতেই ছুটে এসেছিলেন এই নদীর পাড়ে । বিকেল নামলেই হাজারো মানুষের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে শেরপুর-জামালপুর সেতুতে।
পরিবার পরিজন আর প্রিয়জন নিয়ে আনন্দ উচ্ছাসে মেতেছিল সবাই। ব্রিজ আর নদীরপাড় ঘেষা মেঠো পথে হাটছে মানুষ। অনেকে ব্রিজের নিচে বালুচরে প্রিয়জন কে নিয়ে ফুসকা আর বাদামের সাথে মেতে উঠেছেন রঁসালো আলাপনে। কেউ কেউ দল বেঁধে বা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ট্রলার ও স্পীড বোটে করে ঘুড়ে বেড়িয়েছেন নদীর বুকে।
চট্টগ্রাম আর্মি মেডিকেল কলেজের শিক্ষারর্থী জামিল হোসেন বলেন, শিক্ষা জীবন রুটিনে বাঁধা। একঘেয়েমিতে ক্লান্তি আসে। এখানে এসে মনটা অনেকখানি প্রফুল্ল হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষারর্থী সাবরিনা জাহান মৌ। পরিবারের সাথে ঈদের ছুটিতে ঘুরতে এসেছেন। মৌ বলেন, অনেকদিন পরে নৌকায় চড়েছি। নীলাকাশ, খোলা চারিপাাশ সব মিলিয়ে নির্মল আনন্দ পেয়েছি। শহরের মোবারকপুর থেকে শাহরিয়ার সাদিক নতুন বিয়ে করে স্ত্রীকে নিয়ে ব্রিজে ঘুড়তে এসেছেন। দারুণ ভালো লাগছে বলে প্রতিক্রিয়া জানালেন তারা।
স্থানীয় নৌকার মাঝি শাজাহান মিয়া খুব খুশি।কারন তার আয় বেড়েছে কয়েকগুন। দর্শনার্থীর সমাগম হওয়ায় ঈদের দিনে ভাড়া পেয়েছেন সাতশ টাকা।
হাজারো মানুষের ঢল নামায় হকারের ভিড়ও বেড়েছে। মুড়ি, বাদাম, চানাচুর,ফল, বিস্কুট, লজেন্স, পান, সিগারেট, চা এমনকি বাচ্চাদের খেলনা ও চুড়ি-মালা কসমেটিকসের পসরা সাজিয়ে বসেছেন অনেকে। বিক্রিও হচ্ছে বেশ।
শেরপুর শহর থেকে এই ব্রিজের দুরত্ব মাত্র ১৪ কিলোমিটার। শহরের নতুন বাস স্ট্যান্ড থেকে বাস ভাড়া ২৫-৩০ টাকা। আর শহরের থানামোড় হতে সিএনজি-অটোরিকশায় আসা যাবে ৩৫-৫০ টাকায়। হাজারো মানুষের আগমনে শেরপুর-জামালপুর সেতু এখন মুখরিত।