ঈদে ঘরমুখো যাত্রায় বছর খানেক ধরে বেড়েছে মোটরসাইকেলের ব্যবহার। ঈদের ছুটিতে অসংখ্য যাত্রী নিজস্ব বাহন মোটরসাইকেল নিয়ে যাত্রা করেন বাড়ির উদ্দেশে।
মোটরসাইকেলের বেপরোয়া চলাচলে প্রাণহানির সংখ্যা বেশি হয়েছে।
ফলে এবারের ঈদে জাতীয় মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করেছে সড়ক পরিবহণ (বিআরটিএ)।
তবে যেসব জাতীয় মহাসড়কের পাশে ‘সার্ভিস রোড’ রয়েছে, সেসব মহাসড়কের সার্ভিস রোডে মোটরসাইকেল চলতে দেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছে সংস্থাটি।
রোববার রাজধানীর বনানীতে বিআরটিএ সদর কার্যালয়ে এক কর্মশালায় এ সুপারিশ করা হয়েছে।
আগের তিনবারের তুলনায় গত ঈদুল ফিতরের সময় সড়কে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি বেশি হওয়ার জন্য মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচল বৃদ্ধিকে দায়ী করা হয় কর্মশালায়।
বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, গত ঈদযাত্রা তুলনামূলক নির্বিঘ্ন ছিল। যানজটের ভোগান্তি ছিল না। কিন্তু দুর্ঘটনা বেড়েছে। বেশিরভাগ দুর্ঘটনার কারণ মোটরসাইকেল। সাধারণ সময়ে ও মোটরসাইকেলে দুর্ঘটনা বেশি ঘটছে।
বিআরটিএ তথ্যে দেখা যায়, ২০২১ সালের ঈদুল ফিতরে ৫৬ সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৮ জনের মৃত্যু হয়। প্রতিদিন গড়ে ৭ জন নিহত হয়েছে। গত ঈদের আট দিনে ১০৬ দুর্ঘটনায় ১০৬ জনের প্রাণ গেছে। গড়ে প্রতিদিন ১৩ জন নিহত হয়েছেন।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন সড়ক পরিবহণ সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী। অংশ নেন বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার, বিআরটিসির চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) প্রধান প্রকৌশলী একেএম মনির হোসেন পাঠানসহ সরকারি বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা।