পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার পর্যটন কেন্দ্র ‘গজনী অবকাশ’ এ ছিলো দর্শনার্থীদের ভিড়। এ পর্যটন কেন্দ্রের নৈসর্গের প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে ছুটে এসেছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার হাজার হাজার মানুষ।
সোমবার সকাল থেকেই ছোট-বড় সকলের উপস্থিতিতে ঈদের আনন্দ যেন পূর্ণতা পেয়েছে এ পর্যটন কেন্দ্রে। শুধু গজনী অবকাশ নয় জেলার মধুটিলা ইকোপার্ক, অর্কিট, রাজার পাহাড়, ডিসি লেকসহ শেরপুরের ছোট বড় সব পর্যটন ও অবসর কেন্দ্রগুলোতে এমন চিত্র দেখা গেছে।
এই পর্যটন কেন্দ্রের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য খুব সহজেই আকৃষ্ট করে আগত পর্যটকদের। প্রকৃতি এখানে প্রতিনিয়ত হাতছানি দিয়ে ডাকে। পাহাড় টিলা আর সমতল ভূমিতে সবুজের সমারোহ। শাল, গজারি, সেগুন, ছোট-বড় মাঝারি টিলা, লতাপাতার বিন্যাস প্রকৃতি প্রেমীদের নিশ্চিত দোলা দিয়ে যায়। অপরূপ রূপের চাদর মোড়ানো পাহাড় আর সেই পাহাড়ের পাশ ঘেঁষেই রয়েছে ভারতের মেঘালয় রাজ্য।
অন্যদিকে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নতুন করে পাহাড়ের বুক জুড়ে তৈরি হচ্ছে সুদীর্ঘ ওয়াকয়ে। পায়ে হেঁটে পাহাড়ের স্পর্শ নিয়ে লেকের পাড় ধরে হেঁটে যাওয়া যাবে এক পাহাড় থেকে অন্য পাহাড়ে। মাশরুম ছাতার নীচে বসে বা পাখি বেঞ্চে বসে পাহাড়ের ঢালে আদিবাসীদের জীবনযাত্রা, পাহাড়ি জনপদের ভিন্ন জীবনমান উপভোগ করেছে দর্শনার্থীরা। আগত শিশু দর্শনার্থীদের জন্য চুকুলুপি চিলড্রেনস পার্কের পাশাপাশি এবার নতুন যুক্ত হচ্ছে শিশু কর্নার।
চুকুলুপি চিলড্রেনস পার্ক সকালে থেকেই মুখরিত ছিলো। শিশুদের ভিড় বেড়ে যাওয়ায় পার্কের ফটকে লম্বা লাইন দেখা যায়। বিভিন্ন রাইডে চড়ে ও খোলামেলা পরিবেশ পেয়ে আনন্দে মেতে ওঠে শিশুরা। শিশুদের সঙ্গে অনেক অভিভাবককেও আনন্দে মেতে উঠতে দেখা যায়।
গজনী অবকাশে আসা দর্শনার্থী রবিউল বলেন, ঈদ তো শিশুদের। তাই মেয়েকে নিয়ে এলাম। অনেক ভিড়। একেকটা রাইডে উঠতে প্রচুর সময় চলে যাচ্ছে। তারপরও মেয়েটা আনন্দ পাচ্ছে। তাতেই আমি খুশি।
ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, কোরবানীর ঈদ উপলক্ষে গজনী অবকাশে দর্শনার্থী বেড়েছে। দর্শনার্থীরা যাতে নির্বিঘ্নে ঘোরাফেরা করতে পারে সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত রয়েছে।