ঈদের তৃতীয় দিনেও শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার গারো পাহাড়ের গজনী অবকাশ পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় ছিল। পরিবার-পরিজন নিয়ে নৈসর্গের এ প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে ছুটে এসেছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার হাজার হাজার মানুষ।
এই পর্যটন কেন্দ্রের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য খুব সহজেই আকৃষ্ট করে আগত পর্যটকদের। প্রকৃতি এখানে প্রতিনিয়ত হাতছানি দিয়ে ডাকে। পাহাড় টিলা আর সমতল ভূমিতে সবুজের সমারোহ। শাল, গজারী, সেগুন, ছোট-বড় মাঝারি টিলা, লতাপাতার বিন্যাস প্রকৃতি প্রেমিদের নিশ্চিত দোলা দিয়ে যায়।অপরূপ রূপের চাদর মোড়ানো পাহাড়ভ আর সেই পাহাড়ের পাশ ঘেঁষেই রয়েছে ভারতের মেঘালয় রাজ্য।
অন্যদিকে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নতুন করে পাহাড়ের বুক জুড়ে তৈরী হচ্ছে সুদীর্ঘ ওয়াকওয়ে। পায়ে হেঁটে পাহাড়ের স্পর্শ নিয়ে লেকের পাড় ধরে হেঁটে যাওয়া যাবে এক পাহাড় থেকে অন্য পাহাড়ে। পড়ন্ত বিকেলে ছোট ছোট নৌকায় করে ঘুরার জন্য রয়েছে লেক। লেকের বুকে নৌকায় চড়ে পাহাড়ের পাদদেশে কফি আড্ডা আর গান এখানে আগত দর্শণার্থীদের জন্য অন্যরকম অভিজ্ঞতা তৈরী করবে। গারো মা ভিলেজেও ছোঁয়া লেগেছে নতুনত্বের। মাশরুম ছাতার নীচে বসে বা পাখি ব্রেঞ্চে বসে পাহাড়ের ঢালে আদিবাসীদের জীবনযাত্রা, দিগন্তজোড়া ধান ক্ষেত আর পাহাড়ী জনপদের ভিন্ন জীবনমান উপভোগ করা যাবে খুব সহজেই।
এসকল দৃশ্যাবলি দেখতে ঈদ পরবর্তী ছুটির দিনে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে। পাশাপাশি আগত দর্শনার্থীরা যাতে নিবিগ্নে ঘোরাফেরা করতে পারে তার জন্য পুলিশ, বিজিবি, গ্রাম পুলিশ ও কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সদস্যরা নিয়োজিত ছিলেন।