আজ রবিবার ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৩১শে জুলাই বা ১লা আগস্ট পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে।
এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এ বছর করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক ঈদের প্রধান জামাত জাতীয় ঈদগাহ এর পরিবর্তে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত হবে।
আরো জানানো হয়, ঈদুল আযহা উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশ্যে বাণী প্রদান করবেন। এ উপলক্ষে সরকারি/ বেসরকারি ভবন এবং বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে এবং “ঈদ মোবারক” খচিত ব্যানার ঢাকা মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ ট্রাফিক আইল্যান্ড সমূহে প্রদর্শনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
ঈদুল আযহা দিবাগত রাত্রিতে নির্দিষ্ট সরকারি ভবনসমূহ এবং সামরিক গুরুত্বপূর্ণ ভবনসমূহ আলোকসজ্জা করা হবে। সভায় সিদ্ধান্ত হয় সারাদেশের বিভাগ/ জেলা/ উপজেলা/ সিটি কর্পোরেশন/ পৌরসভা/ সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ /বেসরকারী সংস্থাসমূহের প্রধানগণ জাতীয় কর্মসূচির আলোকে নিজ নিজও কর্মসূচি প্রণয়ন পূর্বক পবিত্র ঈদুল আজহ উদযাপন করবে।
বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার ও বেসরকারি গণমাধ্যমসমূহ যথাযথ গুরুত্ব সহকারে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করবে এবং সংবাদপত্রসমূহে বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করা হবে। পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপন উপলক্ষে দেশের সকল হাসপাতাল/ কারাগার /সরকারি শিশুসদন/ বৃদ্ধনিবাস /মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র সমূহে উন্নত মানের খাবার পরিবেশন এর ব্যবস্থা করা হবে। বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ও মিশনসমূহে যথাযথভাবে পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপন করা হবে। এ উপলক্ষে সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রক্ষার্থে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কোরবানি পরবর্তীতে কোরবানিকৃত পশুর রক্ত/বর্জ্য পদার্থ দ্বারা যাতে পরিবেশ দুর্গন্ধময় না হয় সে বিষয়ে সকল প্রকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।