সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য নিরাপত্তা বাহিনী কাজ করছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বেশ কয়েকটি জায়গায় হতাহতের ঘটনা আমরা দেখেছি। পুলিশ যথাযথভাবে তাদের চিহ্নিত করেছে এবং যারা দোষীব্যক্তি ইতোমধ্যে তাদের গ্রেপ্তার করে ফেলেছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পুলিশ তাদের কাজ করছে। আমাদের বিশাল এলাকা নিয়ে নির্বাচন হচ্ছে। ইউপি নির্বাচনে সব সময় দেখা যায়, এটা গোষ্ঠী-গোষ্ঠীর নির্বাচন, আধিপত্যের নির্বাচন। সব সময় একটু ঝগড়াঝাটি হয়েই থাকে।
তিনি বলেন, বেশ কয়েকটি জায়গায় হতাহতের ঘটনা আমরা দেখেছি। পুলিশ যথাযথভাবে তাদের চিহ্নিত করেছে এবং যারা দোষী ব্যক্তি ইতোমধ্যে তাদের গ্রেপ্তার করে ফেলেছে। যারা এই চক্রান্তের সঙ্গে জড়িত তাদেরও চিহ্নিত করতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট বলে গেছেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীকে যেন ব্যবস্থা নিতে বলা হয়, সেটি করা হয়েছে। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য তারা কাজ করে যাচ্ছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে আগামী ২৪ নভেম্বর থেকে ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত টুঙ্গিপাড়ায় সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। সেখানে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য তুলে ধরা হবে। এ ছাড়া, ১৬ ও ১৭ অনুষ্ঠেয় ২ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের নিরাপত্তার বিষয়েও তিনি কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করছি। মহান বিজয় দিবসকে সামনে রেখে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় ২ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এই অনুষ্ঠান এবং সারা দেশে যেসব অনুষ্ঠান হবে সব অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে সার্বিক নিরাপত্তা প্রদানের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠানস্থলে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী এবং বিদেশি অতিথিদের আসা-যাওয়া ও তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য এই সভা হয়েছে।
আগামী ১৬ ও ১৭ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ ভবন ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ১৬ ডিসেম্বর জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে আরেকটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। এ সবগুলো মিলিয়ে ডিসেম্বর মাসটি অনুষ্ঠানের মাসে পরিণত হতে যাচ্ছে। নিয়মিত সদস্যদের পাশাপাশি সাদা পোশাকে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। অনুষ্ঠানস্থলে অতি গুরুত্বপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ অতিথিদের প্রবেশের আলাদা ব্যবস্থা থাকবে। সড়কের পাশের ভ্রাম্যমাণ দোকান, নির্মাণ সামগ্রী অপসারণ করা হবে। নিরাপত্তার প্রশ্নে যা যা করা দরকার আমরা সবই করবো— বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, জাতির পিতার সমাধিস্থল টুঙ্গিপাড়াসহ সারা দেশে যেসব আয়োজন হবে, সেখানকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ব্যবস্থা করা হবে। জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে আগামী ২৪ নভেম্বর থেকে ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত টুঙ্গিপাড়ায় অনুষ্ঠান হবে। এর মধ্যে ইউপি নির্বাচন চলছে, সব কিছু চিন্তা করে আমরা পরিকল্পনা সাজাচ্ছি। জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা যেন সুষ্ঠুভাবে হয় সে জন্য একটি উপকমিটি করা হয়েছে।
যেসব গাড়িতে সিএনজি গ্যাস সিলিন্ডার রয়েছে। সেগুলো ১ কিলোমিটার দূরে রেখে জাতীয় সংসদ ভবন, প্যারেড স্কয়ারসহ অন্যান্য উৎসবস্থলে আসতে হবে। গ্যাস সিলিন্ডার বিপত্তি ঘটায় অনেক সময়— বলেন তিনি।