তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত শেরপুরের নকলা উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্চাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের ৪ জন, বিদ্রোহী ৪ জন ও বিএনপি সমর্থিত ১ প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। ২৮ নভেম্বর রবিবার রাতে বেসরকারিভাবে ওই ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী গণপদ্দী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনী প্রার্থী শামসুর রহমান আবুল নৌকা প্রতীক নিয়ে ৬ হাজার ৮১১ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আমির হামজা মোটর সাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৫ হাজার ৫৬৯ ভোট।
নকলা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আবু বকর সিদ্দিক ফারুক মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে ৪ হাজার ৩২৩ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী প্রতীকের প্রার্থী আনিসুর রহমান সুজা পেয়েছেন ৪ হাজার ৫৬ ভোট।
উরফা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মুহাম্মদ নুরে আলম তালুকদার ভূট্টো চশমা প্রতীকে ৬ হাজার ২১২ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী রেজাউল হক হীরা পেয়েছেন ৬ হাজার ৮২ ভোট।
গৌড়দ্বার ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শওকত হোসেন খান ২ হাজার ৫২৫ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মোবারক হোসেন চশমা প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৯৯৫ ভোট।
বানেশ্বর্দী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মাজহারুল আনোয়ার মহব্বত আনারস প্রতীক নিয়ে ৪ হাজার ৮১৪ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী খন্দকার জাকির হোসেন চশমা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২ হাজার ৬১০ ভোট। আর নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আঞ্জুমান আরা রুমী হয়েছেন তৃতীয়। একটি কেন্দ্রেও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সর্বোচ্চ ভোট পারনি।
পাঠাকাটা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুস সালাম ৬ হাজার ১৯১ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মোবারক হোসেন আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ৭৯৯ ভোট।
টালকী ইউনিয়নে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মোজাফফর মহিউদ্দিন বুলবুল ঘোড়া প্রতীক নিয়ে ৫ হাজার ৪৮৭ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. ছায়েদুল আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১ হাজার ৭৩৪ ভোট। আর নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বদিউজ্জামান তৃতীয় হয়েছেন। একটি কেন্দ্রেও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সর্বোচ্চ ভোট পাননি।
চরঅষ্টধর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম রব্বানি ৭ হাজার ৮৫১ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী শাহজাহান আনারস প্রতীকে ৪ হাজার ৮২৪ ভোট পেয়েছেন।
চন্দ্রকোনা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী কামরুজ্জামান গেন্দু আনারস প্রতীক নিয়ে ৭ হাজার ৮৫১ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সাজু সাইদ ছিদ্দিকী পেয়েছেন ৬ হাজার ৪২৭ ভোট।