অনেকটা শখের বসেই ৪ বছর আগে কুরবানির জন্য গরু লালন পালন করেন বিসমিল্লাহ এগ্রো ফার্মের মালিক মোঃ দীন ইসলাম ও আল ইসলাম দুই ভাই। চাউলের ব্যবসার পাশাপাশি দুই ভাই মিলে পালন করছেন এসব গরু। ৪ বছরের মধ্যে প্রতি বছরই কোরবানির হাটে বিসমিল্লাহ এগ্রোর গরু মানুষের নজর কাড়ে । এবারও এই ফার্মের গরু কুলিয়ারচরের কুরবানির হাট মাতাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিসমিল্লাহ এগ্রোতে পালিত কালো রঙের সবচেয়ে বড় গরুটির নাম দেওয়া হয়েছে টাইটানিক। শান্তশিষ্ট টাইটানিকের ওজন ২০ মণেরও বেশি। এছাড়া খামারের সবচেয়ে সুন্দর ও শান্তশিষ্ট গরুটির নাম দেওয়া হয়েছে দোবল। দোবলের ওজনও প্রায় ২০ মণ। টাইটানিক, দোবল ছাড়াও রাজা, লালসালু, লালু, জার্সি, রাগী লালু নামের প্রায় একই সাইজের আরও ৫টি গরু রয়েছে যাদের প্রত্যেকের ওজন ১৮ থেকে ২০ মণ।
খামারি আল ইসলাম জানান, একেবারে ন্যাচারাল উপায়ে নিজ হাতে লালন-পালন করা হচ্ছে গরুগুলো। গরুগুলোকে দুই বেলা দানাদার খাবার ও দুপুরে কাঁচা ঘাস দেওয়া হয়। করোনা মহামারির কারণে এবার হাট হবে কি-না এই নিয়ে বেশ চিন্তিত এবং হাট না হলে ন্যায্য দাম পাওয়া নিয়ে শঙ্কিত তারা।
এদিকে জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা বলেন, করোনার মহামারির কারণে আমরা খামারিদের অনলাইনে পশু বিক্রির পরামর্শ দিচ্ছি।