আশুরার রোজা দ্বারা শুধু সগিরা গুনাহ মাফ হবে। কবিরা গুনাহ বিশেষ তওবা ছাড়া মাফ হয় না।
ইমাম নববী (রহ.) বলেন, ‘আশুরার রোজা সকল সগিরা গুনাহ মোচন করে। হাদিসের বাণীর মর্ম রুপ হচ্ছে, কবিরা গুনাহ ছাড়া সকল গুনাহ মোচন করে দেয়। এরপর তিনি আরো বলেন, আরাফার রোজা দুই বছরের গুনাহ মাফ করে। আর আশুরার রোজা এক বছরের গুনাহ মাফ করে।
মুক্তাদির ‘আমীন’ বলা যদি ফেরেশতাদের আমীন বলার সঙ্গে মিলে যায় তাহলে পূর্বের সকল গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়। উল্লিখিত আমলগুলোর মাধ্যমেও পাপ মোচন হয়। যদি বান্দার সগিরা গুনাহ থাকে তাহলে সগিরা গুনাহ মোচন করে। যদি সগিরা বা কবিরা কোনো গুনাহ না থাকে তাহলে তার আমলনামায় নেকি লেখা হয় এবং তার মর্যাদা বৃদ্ধি করা হয়। যদি কবিরা গুনাহ থাকে, সগিরা গুনাহ না থাকে তাহলে কবিরা গুনাহকে কিছুটা হালকা করার আশা করতে পারি।’ (আল-মাজমু শারহুল মুহাযযাব, খ-৬)
শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া (রহ.) বলেন, ‘পবিত্রতা অর্জন, নামাজ আদায়, রমজানের রোজা রাখা, আরাফার দিন রোজা রাখা, আশুরার দিন রোজা রাখা ইত্যাদির মাধ্যমে শুধু সগিরা গুনাহ মাফ হয়। (আল-ফাতাওয়া আল-কুবরা, খ-৫)
অতএব, আসুন আমরা আশুরার রাতে বেশি বেশি করে নফল নামাজ, তাসবিহ তাহলীলসহ অতিরিক্ত হারে তাওবা ও কৃত কর্মের জন্য ক্ষমা চাইতে পারি। মহান আল্লাহ যেন আমাদের হায়াত বাড়িয়ে দেয় সে জন্য তার নিকট প্রর্থনা করতে হবে।
সারাটি বছর যেন রাঙিয়ে দেয়া যায়, সে জন্য এখন থেকেই জীবনকে গড়ে তুলতে হবে। স্মরণ রাখা প্রয়োজন, গুরুত্বপূর্ণ এই দিনে অপসাংস্কৃতি ও ইসলাম নিষিদ্ধ করছে এমন কোনো কর্মকাণ্ড যেন আমার বা আমাদের দ্বারা সংগঠিত না হয়।
হে আল্লাহ! আপনি আমাদের সবাইকে কবুল করুন। আল্লাহুম্মা আমিন।