বাজারে পেঁয়াজের দর গত কয়েকদিন ধরে টানা বাড়ছে। সোমবার খুচরা বাজারে আরও বেড়ে দেশি পেঁয়াজের দর ৯০ থেকে ৯৫ টাকা হয়েছে। আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৭০ থেকে ৮০ টাকায়।
রাজধানীর হাতিরপুর বাজারের বিক্রেতা নাসির উদ্দিন বলেন, ৮৫ টাকা দরে পেঁয়াজ কিনে ৯৫ টাকা করে বিক্রি করছেন। আর মধুবাগ বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়। তবে সামান্য দূরে মগবাজারে তা বিক্রি হয়েছে ৭০ টাকায়।
পাইকারি বাজারেও দিন দিন বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। কারওয়ান বাজারের পাইকারি আড়তে সোমবার ভারতীয় পেঁয়াজ ৬৫ টাকা ও দেশি পেঁয়াজ ৭৮ টাকায় বিক্রি হয়।
ট্যারিফ কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি টন পেঁয়াজের দর ৩৪১ ডলার। এ হিসাবে কেজিপ্রতি পেঁয়াজের আমদানি মূল্য পড়ছে প্রায় ২৮ টাকা। এক সপ্তাহ আগে আন্তর্জাতিক বাজারে দর ছিল ২৭১ ডলার। এ হিসাবে প্রতি কেজির দর ২২ টাকা। তাই আমদানি করা পেঁয়াজের দাম এতটা বাড়ার কোনো কারণ নেই বলে মনে করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্টরা। দাম এত বৃদ্ধির কোনো কারণ নেই।
পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে কারওয়ান বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী ইউনুস মণ্ডল সমকালকে বলেন, ‘মৌসুম শেষ পর্যায়ে থাকায় কৃষকদের কাছে পেঁয়াজ তেমন নেই। মহাজন ব্যবসায়ীদের কাছে থাকা পেঁয়াজ প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। এ কারণে মোকামে দর বেড়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগাম রোপন করা মুড়িকাটা পেঁয়াজ সম্প্রতি অতিবৃষ্টিতে নষ্ট হয়েছে। নতুন করে হালিকাটা পেঁয়াজ রোপণের জন্য চারা করা হচ্ছে। মুড়িকাটা পেঁয়াজের ফলন কম আসবে। এ কারণে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। ফলে দাম বেড়েছে। তবে আগামী মাসে পেঁয়াজ আসা শুরু হলে তখন দাম কমবে।’
পেঁয়াজ আমদানিকারক মো. মাজেদ বলেন, ‘পেঁয়াজ আমদানিতে কারা কারসাজি করছেন তা জানা নেই। কেউ করে থাকলে তার বিরুদ্ধে সরকারের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’
তিনি জানান, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানিতে ৪৫ থেকে ৪৭ টাকা পড়ছে। তা এখন ৫০ থেকে ৫২ টাকায় শ্যামবাজারে বিক্রি করছেন।
এই ব্যবসায়ী আরও বলেন, ‘গত ১০ দিন ধরে ভারত থেকে আমদানিতে পেঁয়াজের দর বেশি পড়ছে। এ কারণে দেশেও বেড়েছে।’
তবে পাইকারি বাজারের সঙ্গে খুচরায় কেজিতে ৩০ টাকা ব্যবধান হওয়ার কথা নয় বলে মনে করছেন তিনি।
তথ্যসূত্র : দৈনিক সমকাল. ৩০ অক্টোবর ,২০১৭