“রাজাকারপুত্র যখন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি প্রার্থী” শিরোনামে গণমাধ্যমে যে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে তা ভিত্তিহীন দাবি করে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মনির উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, আমার বাবা আজিম উদ্দিন আহম্মেদ মুজিব আদর্শের মানুষ ছিলেন। আমার মরহুম বাবাকে নিয়ে মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে যা সম্পূর্ণ উদ্দ্যেশ্য প্রণোদিত। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
আজ ২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার শেরপুর শহরের মাধবপুরস্থ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
লিখিত বক্তব্যে মনির উদ্দিন বলেন, ১ ডিসেম্বর জাতীয় দৈনিক ঢাকা টাইমস’সহ বেশ কয়েকটি অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় ” রাজাকারপুত্র যখন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি প্রার্থী” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। যা ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। আমি ১৯৯০ সালে এসএসসি পাশের পর কলেজে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে পড়ি। সে সময় কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোট পেয়ে জয় লাভ করি। এরপর ছাত্রলীগের কলেজ কমিটিতে যুগ্ম সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করি। পরবর্তীতে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করি। এরপর জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলাম। বর্তমানে আমি শেরপুর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি, জেলা ইটভাটা সমিতি ও রোটারি ক্লাব, জেলা চক্ষু হাসপাতাল সমিতি’র নেতৃত্বে রয়েছি।
আমার বাবাও একজন মুজিব আদর্শে আদর্শিত ছিলেন। বাবার সাথে বর্তমান মেয়র আলহাজ্ব গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটনের বাবা আওয়ামী লীগ নেতা মরহুম নিজাম উদ্দিনের সাথে চমৎকার সম্পর্ক ছিল। কর্মজীবনে আমার বাবা একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। এছাড়াও তিনি তৎকালীন সময়ে শেরপুর পৌরসভায় ইন্সপেক্টর পদে সুনামের সাথে চাকুরী করেছেন।
মনির লিখিত বক্তব্যে আরও বলেন, প্রকাশিত সংবাদে জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডের প্যাড ব্যবহার করে ভুয়া প্রত্যয়ন তৈরি করে আমার মরহুম বাবা আজিমউদ্দিন আহম্মেদকে রাজাকার আখ্যায়িত করে বানোয়াট ও উদ্দ্যেশ্য প্রণোদিতভাবে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে।
ঢাকা টাইমস সহ বেশকিছু পত্রপত্রিকায় আমাকে রাজাকারের পুত্র আখ্যায়িত করায় আমি আইনগত ব্যবস্থা নিব।
এ ব্যাপারে জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা নুরল ইসলাম হিরো শেরপুর টাইমসকে বলেন, মনির উদ্দিন আহম্মেদের বাবা আজিমউদ্দিন আহম্মদ রাজাকার ছিলেন মর্মে যে প্রত্যয়ন পত্রে আমার স্বাক্ষর দেখানো হয়েছে তা ভুয়া ও জাল। এসব কোন প্রত্যয়নপত্র আমি দেয়নি। কাজেই আমি এ ব্যাপারে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহন করব।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা আরিফুল ইসলাম অপু, ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম মনি, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা তারিফ তৌফিকুর রহমান, শ্রীবরদী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এ্যাডভোকেট মেরাজ উদ্দিন চৌধুরী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আরাফাত হোসেন সনেট, তনয় ঘোষ, মাহমুদুল হাসান সুজন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।