‘স্বামী-স্বজনগরে মাইরা হালানির পরে আমরা ভিক্ষা কইরাও খাইছি। শেখ হাসিনা, মতিয়া চৌধুরী আমগরে লাইগা অনেক করছে। মুক্তিযোদ্ধার পদবি পাইছি। ভাতা পাইতাছি। পাক্কাঘরে শান্তিতে ঘুমাইতাছি। আমগরে চাওয়া-পাওয়ার আর কিছু নাই। শুধু দুয়া করি হাসিনারে আল্লাহ-মাবুদ বাঁচায়া রাখুক। কথাগুলো বলছিলেন শহিদ ইব্রাহিমের স্ত্রী হাফিজা বেওয়া।’
১৯৭১ সালের ২৫ জুলাই শেরপুরের নালিতাবাড়ীর সোহাগপুর বেনুপাড়া গ্রামে পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার-আলবদরা নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালায়। এদিন গ্রামের ১৮৭ জন পুরুষকে নির্মমভাবে গুলি করে ও বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর পুরুষ না থাকায় স্বাধীনতার পর এ গ্রামের নাম হয় ‘বিধবাপল্লী’।
এ পল্লীতে বর্তমানে ২৯ বিধবাকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১১ লাখ টাকা মূল্যের একটি করে পাকাবাড়ি উপহার দিয়েছেন এবং ১৪জন বীরঙ্গনাকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিয়েছেন। এছাড়া শহীদদের স্মরণে কাঁকরকান্দি এলাকায় শহীদ মুক্তিযোদ্ধা কলেজ, প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। এদিকে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে শহীদদের স্মৃতি রক্ষার্থে জমি ক্রয়ের পর স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের কাজ চলছে।