বাংলা ট্রিবিউন : ১৭তম ওভারের চতুর্থ বলে শুভাশিষ রায়ের ইয়র্কার বলটি খেললেন ব্যাটসম্যান মাশরাফি বিন মুর্তজা। পরের মুহূর্তেই বাদানুবাদে জড়িয়ে তার দিকে তেড়ে যান শুভাশিষ। চিটাগং ভাইকিংস পেসারের এমন আচরণ মেনে নিতে পারেননি মাশরাফি ভক্তরা। এ নিয়ে তুমুল আলোচনা শুরু হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে তাই ফেসবুক লাইভে আসেন মাশরাফি। সঙ্গে ছিলেন শুভাশিষও, যেখানে ক্ষমা চেয়েছেন তিনি মাশরাফির কাছে।
মাশরাফি ফেসবুক লাইভে বলেছেন, ‘আসসালামু আলাইকুম, আপনারা কেমন আছেন। আমি খুব ভালো আছি। আপনারা ভালো থাকুন, শান্তিতে থাকুন। সামনে আবার দেখা হবে। অবশ্যই অভিনন্দন শুভাশিষকে। তার দল আজ জিতেছে।’
শুভাশিষকে ‘উদীয়মান ক্রিকেটার’ উল্লেখ করে মাশরাফি বলেছেন, ‘শুভাশিষ উদীয়মান ক্রিকেটার। ইনশাআল্লাহ সে বাংলাদেশের হয়ে ভালো খেলবে- এই দোয়া আমিও করি, আপনারাও করবেন।’ আর ঘটনাটা নিয়ে ভক্তদের ‘বাড়াবাড়ি’ না করারও অনুরোধ করেছেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক। বক্তব্য শেষ করে মাশরাফি পেছনে দাঁড়িয়ে থাকা শুভাশিষকে সুযোগ করে দেন কথা বলার। যেখানে শুভাশিষ শুধু ‘ভাই স্যরি, স্যরি, স্যরি ভাই’ বলেই ক্যামেরা থেকে লুকান মুখ।
মাশরাফি শুধু ফেসবুক লাইভেই সীমাবদ্ধ থাকেননি। তিনি নিজের ফেসবুকে শুভাশিষের সঙ্গে তোলা ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘আমরা আমরাই তো, যা হওয়ার হয়েছে।’ এই বার্তায় ভক্তদের স্পষ্ট করেই বলে দিয়েছেন, ‘উত্তেজিত হওয়ার কিছু নেই। এটা খেলারই অংশ।’
প্রসঙ্গত, ভাইকিংসের বিপক্ষে ম্যাচের ১৭তম ওভারের চতুর্থ বলের সময় রংপুরের জয়ের জন্য দরকার ছিল ২১ বলে ৩৮ রান। ওই ওভারে শুভাশিষের আগের বলে, মানে তৃতীয় বলে বাউন্ডারি মেরেছিলেন মাশরাফি। স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা ক্ষুব্ধ ছিলেন শুভাশিষ। পরের বলটা ইয়র্কার দিলে মাশরাফির ব্যাট ছুঁয়ে বল আসে শুভাশিষের হাতে। বলটা ধরেই তিনি ছুড়ে মারতে চাইলেন মাশরাফির দিকে। বিষয়টা ভালো লাগেনি বাংলাদেশেরে ওয়ানডে অধিনায়কের। হাত দিয়ে শুভাশিষকে ইশারা করেন ‘দূরে যেতে’। তারপরই ঘটে অনাকাঙ্খিত ঘটনাটি।