শেরপুর সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোস্তাফিজুর রহমান আবারো ময়মনসিংহ রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ অফিসারের স্বীকৃতি লাভ করেছেন। মাদক ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে কৃতিত্বপূর্ণ অবদান রাখায় তিনি এপ্রিল মাসের ‘শ্রেষ্ঠ মাদকদ্রব্য উদ্ধারকারি অফিসার’ সম্মাণনা লাভ করেন। এনিয়ে তিনি তিনবার রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ অফিসার হওয়ার সম্মানণা লাভ করলেন।
১৬ মে বৃহস্পতিবার দুপুরে ময়মনসিংহ রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে পুরষ্কারের ক্রেস্ট ও নগদ অর্থ তুলে দেন ডিআইজি নিবাস চন্দ্র মাঝি। এসময় ময়মনসিংহ বিভাগের ৪ জেলার পুলিশ সুপারগণ উপস্থিত ছিলেন। এদিন একইসাথে ময়মনসিংহ রেঞ্জে এপ্রিল-২০১৯ মাসের শ্রেষ্ঠ এসপি, শ্রেষ্ঠ সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, শ্রেষ্ঠ পুলিশ পরিদর্শক সহ ৯ জনকে পুরষ্কৃত করা হয়। এসআই মোস্তাফিজ ছাড়াও এদিন শেরপুরের আরও দুই পুলিশ কর্মকর্তা রেঞ্জ সেরার সম্মাণনা লাভ করেন। তারা হলেন-সদর থানার ওসি মো. নজরুল ইসলাম রেঞ্জের সেরা পুলিশ পরিদর্শক এবং টিআই মো. জাহাঙ্গীর আলম রেঞ্জের সেরা ট্রাফিক পরির্দশক।
পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সদর থানার উপ-পরিদর্শক মো. মোস্তাফিজুর রহমান এপ্রিল-২০১৯ মাসে মাদক, চেরাাচালন ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে নেতৃত্ব দিয়ে একটি বিদেশী পিস্তল, ২ হাজার পিস ইয়াবা ও ১০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করে আলোচনায় আসেন। যা তাকে বিভাগের রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ উপ-পরিদর্শক পুরষ্কারের স্বীকৃতি পেতে সহায়তা করেছে। উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোস্তাফিজ ২০১৪ সাল থেকে শেরপুর সদর থানায় কর্মরত রয়েছেন এবং ২০১৭ বছরের মার্চ মাসে এবং ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসেও তিনি ময়মনসিংহ রেঞ্জের সেরা উপ-পরিদর্শকের পুরষ্কার পেয়েছিলেন।
শেরপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, এসআই মোস্তাফিজ একজন চৌকস অফিসার। তার কাজের স্বীকৃতি হিসেবেই তিনি রেঞ্জের সেরা এসআই সম্মাণনা পেয়েছেন। পুরষ্কার পাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় সদর থানার উপ-পরিদর্শক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, পুরষ্কার সব সময়ই সম্মানের। এটা কাজের স্বীকৃতি বহন করে। পর পর তিন বছর রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ অফিসারের পুরষ্কার পাওয়ায় আমি খুবই আনন্দিত। এ পুরষ্কার আমাকে ভবিষ্যতে নতুন উদ্যমে দায়িত্ব পালনে অনুপ্রেরণা যোগাবে। আমি এজন্য রেঞ্জ ডিআইজি, জেলার পুলিশ সুপার ও অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ, সদর থানার ওসি সহ সহকর্মী অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তা ও কনস্টেবলদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তাদের সহযোগিতা আমাকে এ সম্মাণনা পেতে সহায়তা করেছে।
