শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে ৪ বছরের আদিবাসী ছেলে শিশুকে বলাৎকারের অভিযোগে গ্রেফতারকৃত কিশোর মো. রবিউল ইসলাম রিয়াজ (১৫) এর শাস্তির দাবিতে উপজেলা পরিষদের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠন (বাগাছাস) উপজেলা শাখার ব্যানারে ওই মানববন্ধনে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন উপজেলা শাখা অংশ নেন। মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
স্মারক লিপিতে উল্লেখ করা হয়, গত ১৭ জুন শনিবার বিকাল ২টার দিকে গজনী অবকাশের নির্জন স্থানে উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের গান্ধীগাঁও গ্রামের বাসিন্দা ও গজনী পার্কে দোকান ব্যবসায়ী মো. বিল্লাল হোসেনের ছেলে মো. রবিউল ইসলাম রিয়াজ (১৫) কৃতক ৪ বছরের আদিবাসী ছেলে শিশু জঘন্য, নোংরা এবং যৌন লালসার শিকার হয়। পরে এলাকাবাসীর সহায়তায় কিশোর রিয়াজকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা এবং বলাৎকারকারীর ফাঁসির দাবি করা হয়। সেই সাথে প্রধানমন্ত্রীর নিকট ৪৮ ঘন্টার মধ্যে গজনী পার্কে রিয়াজের বাবার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান (দোকান) উচ্ছেদের জোর দাবি করা হয়।
মামলার তর্দন্ত কর্মকর্তা এসআই খোকন চন্দ্র সরকার জানান, বলাৎকারের শিকার শিশুটির ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। মামরার একমাত্র আসামী গ্রেফতার আছে। ঘটনাটি পুলিশ গুরুত্বের সাথে তদন্ত করছেন।
শেরপুরের জেল সুপার মো. আমিরুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃত কিশোর মো. রবিউল ইসলাম রিয়াজকে ইতিমধ্যেই গাজীপুর কিশোর সংশোধন কেন্দ্রে প্রেরণ করা হয়েছে।
ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন চলাকালে বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠন (বাগাছাস) উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অংকুর মানখিনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের সভাপতি রনু নকরেক, শেরপুর শাখার সাধারন সম্পাদক অনিক চিরান, ময়মনসিংহ শহর শাখার আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সৌহাদ্র চিরান, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন উপজেলা শাখার প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ও সাংবাধিক মো. জাহিদুল হক মনির প্রমুখ। এর আগে উপজেলার ব্রীজপাড় নামক স্থান থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।