শেরপুরে আদালত চত্তর থেকে হাতকড়াসহ পুলিশের চোঁখকে ফাঁকি দিয়ে পালানোর ৩ ঘন্টা পর অভিযুক্তকে চিরুনী অভিযানে আবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পালাতক অভিযুক্তের নাম আব্দুস সালাম (২৫)। সে সদর উপজেলার ইলশার নামাপাড়া গ্রামের মো. গুঞ্জর আলীর ছেলে।
মঙ্গলবার (২১ জুন) দুপুরে পালানোর পর সদর উপজেলার পাকুড়িয়া এলাকায় তার নানা বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। সালাম মাদক মামলায় অভিযুক্ত। পুলিশ বলেছে সালামকে দ্রæত ধরতে এলাকার কিশোরদের তথ্য অনেক কাজে লেগেছে। সালাম বর্তমানে শেরপুর ডিবি পুলিশের হেফাজাতে আছে। ঘটনার পরপর আদালত পাড়ায় পুলিশি নিরাপত্তা জোড়দার করা হয়।
জানা গেছে, গত রবিবার (১৯ জুন) বিকেলে ২৪ গ্রাম হেরোইনসহ শেরপুর সদর উপজেলার জঙ্গলদী আমতলা চৌরাস্তা এলাকা থেকে আব্দুস সালামকে আটক করে র্যাব-১৪। পরের দিন তাকে মাদক আইনের মামলাসহ সদর থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়। সদর থানা পুলিশ সালামকে রিমান্ড চাওয়াসহ মাদক আইনের মামলায় আদালতে সোপর্দ করে। আদালত মঙ্গলবার রিমান্ড শুনানীর দিন ধার্য করে সালামকে জেল হাজতে পাঠায়। সকাল ১১টার দিকে পুলিশ রিমান্ডের আবেদনের শুনানীর জন্য সালামকে জেলা কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়। আদালত চত্বরে প্রচন্ড ভীড়ের মধ্যে পুলিশের চোঁখ ফাঁকি দিয়ে হ্যান্ডকাপসহ সে পালিয়ে যায়। বিষয়টি পুলিশ সুপার অবগত হলে জেলা পুলিশের সকল দপ্তর একযোগে চিরুনী অভিযানে নামে। এই অভিযানের নেতৃত্ব দেন শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ হান্নান মিয়া। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনসুর আহম্মেদ ও কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক খন্দকার শহীদুল হক ও ডিবি পুলিশের একটি বিশাল দল সালামের স্বজনদের বাড়ীতে খোঁজ নিতে থাকেন। স্বজনদের ঘরেঘরে খোঁজ নিতে ব্যবহার করা হয় কিশোরদের। পাকুড়িয়া চকপাড়া এলাকার কিশোরদের সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে ওই এলাকায় সালামের মামার বাড়ী থেকে গ্রেফতার করা হয়। স্থানীয়রা জানিয়েছেন সালাম একজন নিয়মিত মাদকসেবী ও বিক্রেতা।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ হান্নান মিয়া বলেন, এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে কারো গাফিলতি প্রমাণিত হলে তার পুলিশের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার সুপারিশ করা হবে।