চিত্রনায়িকা পরীমণিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টায় করা মামলায় নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও অমিসহ তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন বিষয়ে আদেশ ১৮ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এর বিচারক হেমায়েত উদ্দিন এ আদেশ দেন।
এদিন সকালে পরীমণি তার স্বামী রাজকে নিয়ে আদালতে যান। তার উপস্থিতিতে উভয় পক্ষের আইনজীবীরা শুনানি করেন। তখন পরীমণি বলেন, ‘আদালতের কাছে না বললে কোথায় বলব। আমাকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছিল। হত্যার উদ্দেশে মারধর করা হয়েছে। একটা দম বন্ধ হওয়া পরিবেশে আমাকে আটকে রাখা হয়েছিল। মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করা হয়। আমি ন্যায়বিচার চাই।’
আসামিপক্ষে শুনানির সময় বলা হয়, ঘটনাটি সাজানো ও ষড়যন্ত্রমূলক। আসামিদের হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এই মিথ্যা মামলা সাজানো হয়েছে।
গত ৬ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. কামাল হোসেন ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। এতে উত্তরা ক্লাব লিমিটেডের সাবেক সভাপতি নাসির ইউ মাহমুদ ও তার সহযোগী তুহিন সিদ্দিকী অমিসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।
প্রাথমিক তথ্য বিবরণীতে (এফআইআর) শাহ শহিদুল আলমের নাম না থাকলেও তদন্তের সময় সম্পৃক্ততা পাওয়ায় পুলিশ অভিযোগপত্রে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করে।
গত ১৪ জুন রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য নাসির, অমি এবং আরও চারজন অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন পরীমণি। ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগ আনা হয় এজাহারে। সেদিনই উত্তরা ১ নম্বর সেক্টরের একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে নাসির ও অমিকে গ্রেফতার করা হয়।