মহান মে দিবস আজ। আজ শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের দিন। নানা কর্মসূচিতে পালন হচ্ছে দিবসটি। যাদের শ্রম-ঘামে সচল দেশের অর্থনীতির চাকা, সেই শ্রমিকরা মজুরি পান নামমাত্র! বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নের বিপরীতে এখনো উন্নতি নেই শ্রমিকদের জীবনমানে। তিন বেলা খেয়ে পরে বেঁচে থাকাই কঠিন তাদের। সব খাতের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি বিশ হাজার টাকা নির্ধারণের পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
দেশে দুইরকম খাতে কাজ করেন শ্রমিকরা। আনুষ্ঠানিক খাতে মাত্র ২০ শতাংশ আর বাকি ৮০ শতাংশই কাজ করে অনানুষ্ঠানিক খাতে। অনানুষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের নেই নিয়মিত কাজের ব্যবস্থা। মজুরি কাঠামো তো দূরের কথা, কাজের নির্দিষ্ট সময়সীমাও তাদের নেই। বর্তমান উচ্চমূল্যের বাজারে অনানুষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের আয়ের সাথে ব্যয়ের তফাৎ বিস্তর।
আর আনুষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকের নামমাত্র মজুরি ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকলেও বিশ্বের অন্যান্য দেশের ধারেকাছেও নেই তা। বেসরকারি সংস্থা-বিলসের গবেষণায় দেখা যায়, বাংলাদেশ পোশাক রপ্তানিতে বিশ্বের দ্বিতীয় দেশ হলেও প্রতিযোগী অন্যান্য দেশের তুলনায় সবচেয়ে কম ১১১ ডলার মজুরি এখানকার শ্রমিকদের। আর সবচে বেশি ৩০৭ ডলার মজুরি পান তুরস্কের শ্রমিকরা। প্রতিবেশি দেশ ভারতেও নূন্যতম মজুরি ১৭২ ডলার। কোনোরকমে বেঁচে থাকতে হলেও শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি বিশ হাজার টাকা মজুরি হওয়া উচিত বলে মনে করেন শ্রমিক নেতা আবুল হোসাইন।
অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ডক্টর মুস্তাফিজুর রহমান মনে করেন, দেশের আর্থসামজিক উন্নয়ন হলেও বেড়েছে বৈষম্য। উন্নতি হয়নি শ্রমিকদের জীবনমানের। দেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি শ্রমিকদের সুরক্ষা দিতে সরকারকে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার তাগিদ দিলেন এই অর্থনীতিবিদ।