দেবী দুর্গা এবার পৃথিবীতে এসেছিলেন ঘোড়ার পিঠে চড়ে। আজকের দিন পরই ফিরে যাবেন শক্তির দেবী দূর্গা। কাল শুক্রবার বিজয়া দশমীর দিনে থাকবে শুধু দেবীর বিসর্জনের আয়োজন ও আনুষ্ঠানিকতা। তাই আজ মণ্ডপে মণ্ডপে ভক্তদের ভিড়ও একটু বেশি।
সরেজমিনে শেরপুর শহরের বেশ কয়েকটি মণ্ডপ পরিদর্শন করে দেখা গেছে, শারদীয় দুর্গাপূজায় আজ হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পাশাপাশি মণ্ডপে ভিড় করছেন অন্য ধর্মাবলম্বী তরুণ-তরুণীরাও। হিন্দু সম্প্রদায়ের এ উৎসব যেন পরিণত হচ্ছে সামাজিক উৎসবে। অসুরের বিনাশ আর শান্তি, কল্যাণ ও সমৃদ্ধি লাভের আশায় যুগ যুগ ধরে মা দুর্গার আরাধনা করে আসছে হিন্দু সম্প্রদায়।
গত সোমবার (১৫ অক্টোবর) ষষ্ঠী পূজাতে দেবীর বোধন, আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মধ্য দিয়ে শুরু হয় হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। আজ চলছে মহানবমী। কাল শুক্রবার বিজয়া দশমীর দিনে দেবীকে বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এ উৎসব।
সন্ধ্যার পর শহরের মাধবপুর কৃষ্ণসংঘ পূজা মণ্ডপে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে ভক্তদের উপচে পড়া ভিড়। চলছে প্রার্থনা। দেশ-জাতির মঙ্গল কামনা করছেন ভক্তরা।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পাশাপাশি মন্দিরে আসছেন অন্য ধর্মাবলম্বী তরুণ-তরুণীরাও। আনন্দ মোহন সরকারী কলেজ পড়ুয়া কানিজ ফাতেমা এসেছিলেন গোপাল জিওর মন্দিরে পূজা দেখতে। তিনি বলেন, পূজার ছুটিতে বাড়ি এসেছি, তাই এখন বান্ধবীদের নিয়ে সবাই মিলে বের হয়েছি পূজা দেখতে। শুধু এবার নয়, প্রায় প্রতিবারই সব বন্ধু-বান্ধব একসঙ্গে পূজা দেখতে বের হই। এতে বেশ ভালো লাগে। কানিজ ফাতেমার মতো আরও অনেকে ভিড় জমাচ্ছেন শহরের বিভিন্ন পূজামণ্ডপে।
পঞ্জিকা অনুযায়ী, এ বছর কৈলাসধামের শ্বশুরালয় থেকে দেবী দুর্গা এসেছেন ঘোড়ায় চড়ে। আগামীকাল পূজার শেষদিন অর্থাৎ দশমীতে দেবীর দশমী বিহিত পূজা ও পূজান্তে দর্পণ বিসর্জন। দশমীর দিন বিজয়া শোভাযাত্রা ও শোভাযাত্রা শেষে সন্ধ্যায় প্রতিমা বিসর্জন করা হবে।