রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, আগামী প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য একটি পৃথিবী গড়তে হবে। তিনি পরিবেশ সুরক্ষায় সচেতন থাকার জন্য সকলের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি আন্তর্জাতিক ওজোন দিবস উপলক্ষে আজ শনিবার এক বাণীতে এ আহ্বান জানান।
বিশ্বব্যাপী শিল্পায়ন ও নগরায়নের প্রভাবে দিন দিন পরিবেশ দূষণ বেড়ে চলেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক ওজোন দিবস পালনের মাধ্যমে জনগণের মধ্যে ওজোনস্তর ক্ষয় এবং এর পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ায় সৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে।
‘বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও রবিবার আন্তর্জাতিক ওজোন দিবস যথাযোগ্যভাবে পালিত হচ্ছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করে আবদুল হামিদ বলেন, পৃথিবীর জীব বৈচিত্র্য রক্ষায় ওজোনস্তরের গুরুত্ব সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে এ দিবস সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে তিনি মনে করেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, পৃথিবীর বায়ুম-লে ওজনস্তর সূর্যের ক্ষতিকর অতি বেগুনি রশ্মি থেকে জীব বৈচিত্র্যকে সুরক্ষা দিয়ে থাকে। আর ওজনস্তর ধ্বংসের ক্ষেত্রে বিভিন্ন শিল্পে বিশেষ করে শীতলীকরণ শিল্পে ব্যবহৃত ক্লোরো ফ্লোরো কার্বন বা সিএফসি গ্যাস বড় ভূমিকা রাখে।
আবদুল হামিদ উল্লেখ করেন, বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল দেশ মন্ট্রিল প্রটোকলের আওতায় বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ক্ষেত্রে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন হাইড্রোফ্লোরোকার্বন ব্যবহার রোধে সোচ্চার হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, এ বছর জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচির আন্তর্জাতিক ওজোন দিবসের নির্ধারিত প্রতিপাদ্য ‘শীতল থাকার পরিবেশ বান্ধব কৌশল, মেনে চলি মন্ট্রি প্রটোকল’ যা বর্তমান প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে ‘আমি মনে করি’।
তিনি বলেন, বিশ্বের সকল দেশের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মন্ট্রিল প্রটোকল বাস্তবায়নের মাধ্যমে শুধু যে ওজোনস্তরই রক্ষা পাচ্ছে তা নয় বরং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায়ও তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
তিনি আন্তর্জাতিক ওজোন দিবস-২০১৮ উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন। বাসস।
সূ্ত্র: ইত্তেফাক
শে.টা.বা.জ