বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, দেশের জনগণ যদি সুষ্ঠুভাবে ভোট দেয়ার সুযোগ পায় তাহলে আওয়ামী লীগের কোনো পাত্তা থাকবে না। তাদেরর বহু এমপি-মন্ত্রীর জামানত হারাতে হবে। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের যে পতন হবে এটা শুধু আমাদের কথা নয়, এটা গোয়েন্দা সংস্থা, সাধারণ মানুষ, এমনকি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের কথা।’
বুধবার দুপুরে (২৪ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে জিয়া পরিষদ আয়োজিত ‘বহুদলীয় গণতন্ত্র: শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও আজকের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘ক্ষমতায় না যেতে পারলে পিঠের চামড়া থাকবে না। আওয়ামী লীগ কাউয়ার দল, একটা হাইব্রিড দল। তিনি (ওবায়দুল কাদের) দলের সাধারণ সম্পাদক হয়ে এসব কথা কিভাবে বলেন?’ ‘কারণ তিনি জানেন জনগণ ভোট দেয়ার সুযোগ পেলে (আওয়ামী লীগের) কোনো পাত্তা থাকবে না। এমনকি বহু এমপি-মন্ত্রী আছে যাদের জামানত হারাতে হবে। তারা ২৫-৩০ বেশি আসন পাবে না’ যোগ করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা।
তিনি বলেন, ‘জনগণ যখনই সুযোগ পায়, তখনই জাতীয়বাদী শক্তি বিএনপিকে ভোট দেয়। এখনই যে অবস্থা, দেশের জনগণ যদি সুযোগ পায় ভোট দেয়ার, তাহলে জাতীয়বাদী শক্তির পুনরুত্থান হবে এবং আওয়ামী লীগের কোনো পাত্তা থাকবে না।’
সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রশংসা করে ড. মোশাররফ বলেন, ‘জাতির দু’টি ক্রান্তিলগ্নে জিয়াউর রহমান আশীর্বাদ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন। এক ২৫ মার্চ ১৯৭১ সালের পরে, দুই ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর। এই দুই সময় জাতিকে বিপদ থেকে উদ্ধার করেছিলেন তিনি। ‘তার সঙ্গে তুলনা করার মত আওয়ামী লীগের কে আছে? এই জন্যই স্বভাবত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা জিয়াউর রহমানকে ভয় পাই। আর মৃত জিয়াউর রহমানের চেতনা জীবিত জিয়াউর রহমানের চেয়ে বেশি শক্তিশালী’ যোগ করেন তিনি।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা আরও দাবি করেন, ‘আওয়ামী লীগ যেখানে ব্যর্থ হয়েছে, জিয়াউর রহমান তথা বিএনপি সেখানে সফল হয়েছে। যার কারণে তারা প্রতিনিয়ত বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে।’
জিয়া পরিষদের চেয়ারম্যান ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কবীর মুরাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু ও প্রফেসর ড. আবদুল কুদ্দুস প্রমুখ।