নাঈম ইসলাম ; সেই স্কুল ক্যান্টিন, সেই মাঠ, সেই এসেম্বলি আর ঘন্টার টুনটুনি, সেই দুরন্তপনা, সেই চিরচেনামুখ এরই মাঝে কেটে গেছে অনেক বছর। হারিয়ে যাওয়া স্মৃতিময় সময়কে আবার ফিরিয়ে আনার একটুকরো প্রয়াস ছিল “ব্যাক টু স্কুল সেলিব্রেশন” উৎসবে।
বন্ধুত্ব আর ভ্রাতৃত্ব এ চেতনাকে ধারণ করে আইডিয়াল প্রিপারেটরী এন্ড হাইস্কুলের ১৯৯৯-১৯ ব্যাচের উদ্যোগে আয়োজন করা হয় ব্যাক টু স্কুল সেলিব্রেশন অনুষ্ঠানের। এ জন্য বেছে নেওয়া হয় ঈদুল ফিতরের ৪র্থ দিনকে।
রিইউনিয়ন উপলক্ষে সারাদিনব্যাপী ছিল নানা আয়োজন।
স্কুল জীবনের স্মৃতিচারণে দিনটি ছিল বিগত ২০ বছরের সকল জুনিয়র-সিনিয়র প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা।
সকালে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের বণ্যার্ঢ র্যালির মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। পরে অতিথিদের বরণ করা হয়।
এরপর কবিতা আবৃত্তি, নাচ আর গানে মুখরিত ছিল প্রিয় ক্যাম্পাস। এ যেন শৈশব ও কিশোরের দুরন্তপনা আবার ফিরে পাওয়া।
সবাইকে এক মাঠে এক সাথে পাওয়া রিইউনিয়নের এটাই ছিল সব থেকে স্মরণীয় মুহূর্ত। এ যেন ফ্লাশ ব্যাকে যাওয়া। স্কুল জীবনের সব থেকে স্মরণীয় মুহূর্তে আবার ফিরে যাওয়া।
সেখানে প্রার্থনা ও জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে নিজেদের ঐতিহ্যকে রোমন্থন করেন স্কুলিয়ানরা।
১৯৯৯ থেকে ২০১৯ ব্যাচের দু’জন করে শিক্ষার্থী বক্তব্য দেন। এতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থী সবাই আবেগ ও আপ্লুত হয়ে পড়েন। এসময় তারা নানা স্মৃতিচারণ করেন।
২০১৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী আরজিনা আশা বলেন, “আজ অনেক বছর পরেও স্কুলে এসে মনে হল ফিলিংসটা সেই আগের মতোই রয়েছে। নিজেদেরকে আজ সেই ফেলে আসা ছোট্টদের মত লাগছে যা আমরা পার করে এসেছি অনেক আগেই।
এরপর আয়োজিত এক আলোচনা সভায় শিক্ষকরা ছাত্রদের মঙ্গল কামনা করে তাদেরকে দিক নির্দেশনামূলক উপদেশ দেন।
রোদেলা দুপুরে খাবারের আয়োজন করা হয়। দীর্ঘদিন পর সবাইকে একস্থানে পেয়ে যেন উচ্ছাসের বাধ ভেঙেছিল সবার মাঝে। ফটোসেশানের জন্য “ব্যাক টু স্কুল সেলিব্রেশন” ব্যানারের সামনে ভিড় লেগে যায়।
এরপর রঙিন আলোয় সজ্জিত মঞ্চে মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠান চলে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত। প্রাক্তনরা নেচে গেয়ে পুরোটা সময় মাতিয়ে রাখেন।