১৯ রমজান বিশিষ্ট আইনজ্ঞ আফতাব উদ্দিন আহমেদ এর ৫৫ তম মৃত্যু বার্ষিকী। মরহুমের রুহের মাগফিরাতের জন্য সকলের দোয়া চেয়েছেন তার নাতি শেরপুর টাইমস সম্পাদক এসএ শাহরিয়ার মিল্টন।
অ্যাডভোকেট আফতাবউদ্দিন আহমদ ১৮৯৯ সালে শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার চিথলিয়ার জোতদার বাড়ীতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আলেফ মাহমুদ, পিতামহ শেখ দরবার উদ্দিন ও প্রপিতামহ ফাজেল মন্ডল ছিলেন জোতদার। তিনি শেরপুর ভিক্টেরিয়া একাডেমী থেকে মেট্রিকুলেশন পাশ করে পরবর্তীতে কারমাইকেল কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন। ১৯২৭ সালে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.এল. ডিগ্রী অর্জন করে তৎকালীন ময়মনসিংহ জেলার জামালপুর মহকুমার শেরপুর বারে প্রথম মুসলিম আইনজীবী হিসেবে যোগদান করেন এবং পরবর্তী চল্লিশ বছর তিনি সুনামের সঙ্গে আইন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। তিনি বিভিন্ন সামাজিক, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ শেরপুর বারের সভাপতি, শেরপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান ও সরকারী উকিলের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৮ সালে তিনি ইন্তেকাল করেন। তার ম্মরণে চিথলিয়া গ্রামে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আফতাবিয়া ফোরকানিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা ।
তার বড় ছেলে মরহুম আমিনুল ইসলাম ১৯৫৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ হয়ে বাবার সাথে ১৯৫৬ সালে শেরপুর বারে যোগদান করে আইনজীবী হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন। ১৯৫৯ সালে তিনি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান সিভিল সার্ভিস এর বিচার বিভাগীয় সদস্য নিযুক্ত হন। জামালপুর মহুকুমার সর্বপ্রথম ইপিসিএস বিচার বিভাগের সদস্য হবার দুর্লভ সম্মানের অধিকারী বিশিষ্ট আইনজ্ঞ মরহুম আমিনুল ইসলাম দীর্ঘ ৫০ বছরের সুখ্যাতি ও সুনামের ইতি টানেন ৭৯ বছর বয়সে ২০০৮ সালের ১৬ মার্চ। তিনি পেশাজীবী হিসাবে আমৃত্যু শেরপুর বারের আইনজীবীদের শীর্ষে ছিলেন। দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় তিনি শেরপুর বারের সভাপতি ও সরকারী আইনজীবী হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। মরহুমের মেঝ ছেলে যুক্তরাজ্য প্রবাসী চিকিৎসক মরহুম ডা. আশরাফুল ইসলাম ছিলেন একজন চক্ষু বিশেষজ্ঞ, ছোট ছেলে মরহুম ডা. আনোয়ারুল ইসলাম ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম এফসিপিএস অর্জনকারী চিকিৎসক। তিনি ত্রিপলি আবুসেত্তা বক্ষব্যাধি হাসপাতালের পরিচালক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ছিলেন। একমাত্র মেয়ে মরহুমা রওশন আরা বেগম ছিলেন দেশের খ্যাতনামা শৈল্য বিশেষজ্ঞ মরহুম ডা. নওয়াব আলী আহমদ এর স্ত্রী।