ভারতের কাছে পাত্তাই পেল না ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। বিশ্বকাপের রেকর্ড পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে আসরের শুভ সূচনা করল ভারত।
রোববার আগে ব্যাট করে ১৯৯ রানে অলআউট হয় অস্ট্রেলিয়া। টার্গেট তাড়া করতে নেমে ২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় ভারত।
চরম বিপদে পড়ে যাওয়া দলকে গর্ত থেকে টেনে তুলেন বিরাট কোহলি ও লোকেশ রাহুল। চতুর্থ উইকেটে ২১৫ বলে তারা ১৬৫ রানের জুটি গড়েন। তাদের এই জুটিতেই জয়ের দুয়ারে চলে যায় ভারত।
দলের জয়ে জন্য শেষ দিকে ভারতের প্রয়োজন ছিল মাত্র ৩৩ রান। হাতে ছিল ৭ উইকেট। খেলার এমন অবস্থায় সেঞ্চুরির পথে থাকা কোহলি আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন।
কোহলি ১১৬ বলে ৬টি চারের সাহায্যে ৮৫ রান করে আউট হন। কোহলি আউট হলেও লোকেশ রাহুল ৯৭ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে ৫২ বল আগেই দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন।
টার্গেট তাড়া করতে নেমে মাত্র ২ রানে প্রথম সারির ৩ ব্যাটসম্যানের উইকেট হারিয়ে চরম বিপদে পড়ে যায় ভারত।
মিচেল স্টার্কের করা ইনিংসের প্রথম ওভারের চতুর্থ বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন ওপেনার ইশান কিশান। জশ হ্যাজলউডের করা দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা।
দলের এমন ব্যাটিং বিপর্যয়ে হাল ধরতে পারেননি স্রেয়াশ আইয়ারও। চার নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে জশ হ্যাজলউডের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন স্রেয়াশ। তার বিদায়ে ১.৬ ওভারে মাত্র ২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় ভারত।
রোববার ভারতের চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বরাম স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমেই উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া।
দলীয় ৫ রানে মিচেল মার্শ আউট হওয়ার পর তিন নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নামা স্টিভ স্মিথকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন আরেক ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। দ্বিতীয় উইকেটে ৮৫ বলে ৬৯ রানের জুটি গড়েন তারা।
দলীয় ৭৪ রানে দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরেন ওয়ার্নার। তার আগে ৫২ বলে ৬টি চারের সাহায্যে ৪১ রান করে ফেরেন ওয়ার্নার।
একটা পর্যায়ে ২ উইকেটে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ছিল ১১০ রান। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পতনের কারণে ১৯৯ রানেই ইনিংস গুটায় অস্ট্রেলিয়া।
দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন স্টিভ স্মিথ। ৪১ রান করেন ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। ২৮ ও ২৭ রান করে করেন মিচেল স্টার্ক ও মার্নাস লাবুশেন।
ভারতের হয়ে তিন উইকেট নেন রবিন্দ্র জাদেজা, দুটি করে উইকেট নেন কুলদীপ যাদব ও জসপ্রিত বুমরাহ। এছাড়া একটি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ সিরাজ, হার্দিক পান্ডিয়া ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন।