দেশে বনভূমি উচ্ছেদ ঠেকাতে অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দিয়েছে পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।
রাজধানীর ওসমানি স্মৃতি মিলনায়তনের বুধবার ডিসি সম্মেলনে এ নির্দেশ দেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।
মন্ত্রী বলেন, ‘পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের অনেক কাজ। বনভূমিকে রক্ষা করা, পরিবেশ সুরক্ষা করা এবং জীববৈচিত্র্য রক্ষা করা, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রতিক্রিয়া থেকে রক্ষা পেতে জেলা প্রশাসকদের অনেক সহযোগিতার প্রয়োজন আছে। সে বিষয়ে আমরা উনাদের দিক-নির্দেশনা দিয়েছি।
‘পরিবেশ সুরক্ষার জন্য টিলা কাটা, পাহাড় কাটা, গাছ কাটা-এগুলো বন্ধ করার জন্য উনারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। বনভূমি যাতে কোনো অবৈধ দখলদার দখল করতে না পারে এবং অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করার বিষয়ে আমরা উনাদের সহযোগিতা চেয়েছি। প্রাণী সংরক্ষণ ও জীববৈচিত্র্যের কথাও তাদের বলেছি। সবক্ষেত্রে উনাদের সহযোগিতার প্রয়োজন আছে। তাই উনাদের সার্বিক সহযোগিতা আমরা চাই।’
বনভূমি রক্ষায় জেলা প্রশাসকদের কী নির্দেশ দেয়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ২০৩০ সালের মধ্যে ১৬ শতাংশ বনাঞ্চল। এসডিজি অর্জনের জন্য ১৬ শতাংশ আচ্ছাদিত বন আমাদের দেখাতে হবে। ১৬ শতাংশ বনায়নের জন্য আমরা উনাদের সহযোগিতা চেয়েছি। বর্তমানে ১৪ দশমিক ১ শতাংশ বন রয়েছে। সামাজিক বনায়নের ক্ষেত্রে আমরা তো ২২ শতাংশের উপরেই আছি।
‘দখল হওয়া বনভূমি উদ্ধারে আমরা আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে উনাদের চিঠি দিয়েছি। কোন জায়গায়, কোন এলাকায়, কোন মৌজায় কতটুকু বনভূমি বেদখল আছে, সেগুলো উদ্ধারের জন্য উনাদের সহযোগিতা আমরা আগেই চেয়েছি। তালিকা উনাদের কাছে আছে, প্রত্যেক জেলায় আমরা পৌঁছে দিয়েছি। উনারা আমাদের সহযোগিতা করছেন।’
ইটভাটার মালিক প্রভাবশালী হলে সেগুলো উচ্ছেদে বাধা আসে বলে যে অভিযোগ রয়েছে সে বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ইটের পরিবর্তে ব্লক ইট প্রস্তুত করার পরিকল্পনা নিয়েছি।
২০২৫ সালের মধ্যে সরকারি স্থাপনায় শতভাগ ব্লক ইট ব্যবহার করতে হবে। এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। আমরা যখন শতভাগ ব্লকে যাব, তখন এমনিতেই ইটভাটা বন্ধ হয়ে যাবে।
‘অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করতে গিয়ে ডিসি সাহেবের কোনো সমস্যা হবে বলে আমরা মনে করি না। পুলিশ প্রশাসন উনাদের সঙ্গে থাকবে।’
সূত্রঃ নিউজ বাংলা