বহুল প্রতীক্ষিত এবং ঐতিহাসিক স্বপ্নযাত্রার শুরু হলো। প্রথম চেষ্টায় ব্যর্থ হওয়ার পর দ্বিতীয় দফায় মহাকাশে সফল উড্ডয়ন করল বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার পথে মহাকাশে পদচিহ্ন আঁকল বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ সময় শুক্রবার দিবাগত রাত ২টা ১৪ মিনিটে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের কেপ ক্যানাভেরাল লঞ্চপ্যাড থেকে মহাকাশপানে যাত্রা শুরু করে।
দেশের প্রথম এ কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে টেলিযোগাযোগ ও সম্প্রচারে নতুন যুগের সূচনা হলো।
মহাকাশের পথে যাত্রার সব প্রস্তুতি শেষ হলেও গত রাতে উৎক্ষেপণ হয়নি বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১। সামান্য কারিগরি সমস্যার কথা উল্লেখ করে নির্ধারিত সময়ের ৪২ সেকেন্ড আগে তা স্থগিত করা হয়।
বাংলাদেশের প্রথম এ স্যাটেলাইট প্রকল্পে মার্কিন পরামর্শক প্রতিষ্ঠান স্পেস পার্টনারশিপ ইন্টারন্যাশনাল (এসপিআই) ২০১২ সাল থেকে বিটিআরসির পরামর্শক হিসেবে কাজ করেছে। এ প্রতিষ্ঠানের পরামর্শে প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই, অর্থায়ন, দরপত্র, অরবিটাল স্লট কেনাসহ অন্যান্য সব কাজ করেছে বিটিআরসি।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মোট ৪০টি ট্রান্সপন্ডার রয়েছে। এর মধ্যে ২০টি ট্রান্সপন্ডার বাংলাদেশের ব্যবহারের জন্য রাখা হবে। বাকি ২০টি ট্রান্সপন্ডার বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করা হবে। স্যাটেলাইটটি ১৫ বছর মেয়াদের মিশনে পাঠানো হচ্ছে।
স্যাটেলাইটের কার্যক্রম পুরোপুরি শুরু হলে আশপাশের কয়েকটি দেশে টেলিযোগাযোগ ও সম্প্রচার সেবা দেয়ার জন্য জিয়োসিক্রোনাস স্যাটেলাইট সিস্টেম (৪০ ট্রান্সপন্ডার, ২৬ কেইউ ব্র্যান্ড, ১৪ সি ব্যান্ড)-এর গ্রাউন্ড সিস্টেমসহ অন্যান্য সেবা নিশ্চিত করা যাবে।