জানা গেছে, প্রথম বসানো ১৫০ মিটারের স্প্যানটি তিন হাজার দুইশ টন ওজনের। তিন হাজার সাতশ টন ওজনের একটি ভাসমান ক্রেনের সাহায্যে স্প্যানটি সেতুর পিলারের ৩৮ ও ৩৯ নম্বর পিলারে বসানো হয়। এরপর দ্বিতীয় স্প্যান বসানো নিয়ে নানা ঘটনা ঘটেছে। একাধিকবার তারিখ দিয়েও সেটি বসানো যায়নি। আবার মুন্সীগঞ্জের মাওয়ার কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে দ্বিতীয় স্প্যানটি শনিবার পিলারের কাছে নিয়েও বসানো যায়নি। পরে সব প্রস্তুতিমূলক কাজ শেষ করে সকালের জন্য অপেক্ষায় থাকেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রকৌশলীরা। সেতু বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, স্প্যানটি গত ২০ জানুয়ারি বিকালে মাওয়া কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে জাজিরা প্রান্তে আনার জন্য রওনা হয়। স্প্যানটি জাজিরা প্রান্তে পিলারের কাছে পৌঁছতে তিন দিন সময় লাগার কথা থাকলেও প্রচণ্ড কুয়াশার কারণে ক্রেনটি ধীর গতিতে চালাতে বাধ্য হয় চালক। এ কারণে স্প্যানটি জাজিরা প্রান্তে পৌঁছতে আট দিন সময় লেগেছে। অন্যদিকে নদীতে নাব্যতা সংকটের কারণে ভাসমান ক্রেনটি শনিবার পিলারের যতটা কাছাকাছি যাওয়ার দরকার ছিল, ততটা কাছে যেতে পারেনি। পরে ড্রেজিং করে পানি বাড়ালেও কাজ স্থগিত রাখা হয়। তারপর বিকাল চারটায় স্প্যান পিলারে ওঠানোর কার্যক্রম বন্ধ করা হয়। পরে আজ রোববার ভোর ছয়টায় আবার স্প্যান বসানোর কাজ শুরু হয়। বেলা ১১টার দিকে স্প্যানটি পিলারের ওপরে বসানো হয়। এরপর শুরু হয় পিলারের সঙ্গে স্প্যান সংযুক্ত করার কাজ। এই সেতুতে ৪২টি পিলারের ওপর বসবে মোট ৪১টি স্প্যান। ফলে আরও ৩৯টি স্প্যান বসাতে হবে চলতি বছরের মধ্যেই। কারণ সরকার আগামী ডিসেম্বরেই সেতুর কাজ শেষ করার লক্ষ্য নিয়ে এগুচ্ছে। গত চার মাসে দুটি স্প্যান বসানোয় আগামী ১১ মাসে বসাতে হবে বাকি ৩৯টি। এর আগে গত বছর ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিলারের মধ্যে প্রথম স্প্যানটি বসানো হয়। এখন ১২টি স্প্যান রয়েছে মাওয়া কন্ট্রাকশন ইয়ার্ডে। দুটিতে রঙ এর কাজ চলছে। ওই দুটি স্প্যান আগামী ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে বসানো হবে। শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তের নাওডোবায় (তীরের কাছের অংশ) ৪০ নম্বরটি পিলারটি স্প্যান বসানোর জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। আর ৪১ ও ৪২ নম্বর পিলারটির ঢালাইয়ের কাজ চলছে। ওই দুটি পিলার প্রস্তুত হতে আগামী জুন পর্যন্ত সময় লাগবে। এ ছাড়া কিছু স্প্যান তৈরি হয়ে আছে চীনে। এগুলো দেশে আনার প্রক্রিয়া চলছে। কিছু স্প্যান তৈরির প্রক্রিয়া চলছে সেখানে। সেতুর যে ৪২টি পিলার আছে, তার ১৪টির নকশাও পাল্টাতে হচ্ছে। কারণ এসব পিলারের কাজ করতে গিয়ে মাটির নিচে গভীর কাঁদার স্তর পাওয়া গেছে। যদিও পিলারের নকশা পাল্টানোয় সেতুর নকশায় কোনো অদলবদল হবে না বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শেরপুর টাইমস - শেরপুর জেলাভিত্তিক প্রথম অনলাইন সংবাদ মাধ্যম। শেরপুরের সংবাদের প্রাধান্য দিয়ে দেশ ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনের গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ পাঠকের কাছে তুলে ধরাই আমাদের মূল লক্ষ্য। এছাড়া তারুণ্য ভিত্তিক ইতিবাচক গল্প, শেরপুরের ইতিহাস ঐতিহ্য ও পর্যটনকে এগিয়ে নেয়ার জন্য আমরা অঙ্গিকারাবদ্ধ।